বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৮তম নিবন্ধনের কার্যক্রম। এখন ১৯তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষা। আশা করা হচ্ছিল, আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এই সময়ে শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে বয়স গণনাসহ বেশ কিছু পরিবর্তন এনে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছিল। বিধিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে সচিব কমিটিতে পাশ হয়েছিল।
কিন্তু এখন সেই বিধি আবারও সংশোধন করা হচ্ছে। বিদ্যমান বিধিমালা সংশোধনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। ফলে নতুন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের মধ্যে শুরু করা সম্ভব নাও হতে পারে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিধি পরিবর্তন করে পরিপত্র জারি করতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলে নভেম্বরের মধ্যে ১৯তম নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে কি না সেটি এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।’
বর্তমানে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও প্রার্থীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। এনটিআরসিএ’র সুপারিশ পাওয়ার পরও নানা জটিলতা তৈরি হয়। নতুন বিধিমালা এসব জটিলতা দূর করার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত পদ্ধতিতে পুরো প্রক্রিয়া তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হবে। এতে আইনি জটিলতা কমবে এবং নিয়োগ কার্যক্রমও দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।’
এনটিআরসিএ ও মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন বিধিতে নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করতে চাচ্ছে এনটিআরসিএ। শিগগিরই বিধি সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হবে। সংশোধনের পর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু ভাইভার নম্বর নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেহেতু এটি বিধিতে যুক্ত হওয়াকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।’