মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাসস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

দেশের ১৬৫ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু

বাসস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য দেশের ১৬৫ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম  শুরু। ছবি - সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য দেশের ১৬৫ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম শুরু। ছবি - সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, দেশের ১৬৫ উপজেলায় আজ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা এবং পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত ১৬৫ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম আজ থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদকালে দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে। খাবারের তালিকায় রয়েছে ফোর্টিফায়েড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ।

খাদ্যতালিকা অনুযায়ী রোববার দেওয়া হবে ১২০ গ্রাম বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম, সোমবার বনরুটি ও ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবার ৭৫ গ্রাম ফোর্টিফায়েড বিস্কুট এবং কলা বা স্থানীয় মৌসুমী ফল, আর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। প্রস্তাবিত খাদ্যতালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক ২ শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালুর ফলে শিক্ষার্থীরা বেশি করে স্কুলমুখী হবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। গুণগতমানের শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সহশিক্ষা—যেমন খেলাধুলা, সংগীত, বিতর্ক, বক্তৃতা- শিশুদের মানসিক ও চারিত্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি উল্লেখ করেন, নিয়মিত স্কুলে গেলে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার মধ্যে আসে, তাদের নৈতিক বিকাশ ঘটে এবং তারা সামাজিকতায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ছোট ছোট শিশুদের মেধাবিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মহাপরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Link copied!