জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত দেশে এনে ফাঁসি রায় কার্যকর ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের রায় রিভিউর দাবি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা লজ্জিত এটা দেখে যে, আমার ভাইদের ওপর ৩২ নাম্বারে হামলা করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের রক্তাক্ত করা হচ্ছে। অভিলম্বে প্রশাসনের এ নেক্কার জনক হামলা বন্ধ করতে হবে। যারা ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যখন লীগের সন্ত্রাসীরা অগ্নিসন্ত্রাস করে তখন সবাই চুপ।
তিনি বলেন, কাউকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা সামনেও আসে না। অথচ আজ যখন আওয়ামী লীগের কেবলা ৩২ নম্বরের দিকে ছাত্র জনতা যেতে চাইলো তখন শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি অভিলম্বে ছাত্র জনতার ওপর হামলা বন্ধ করুন।
জুবায়ের বলেন, সরকার হাসিনার ফাঁসি দিলেও পরিকল্পিতভাবে সাবেক পুলিশ প্রধানকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছে। আমরা মামুনের রায়কে পুনরায় রিভিউ করার দাবি জানাচ্ছি। মামুনকে কেন রাজস্বাক্ষী করা হয়েছে? আমরা জানি না। এখানে একজন কনস্টেবলকে রাজস্বাক্ষী করা যেত, যারা মামুনের নির্দেশনায় ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল পরিকল্পিতভাবে মামুনকে রাজস্বাক্ষী করে মাত্র ৫ বছরের সাজা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, জুলাই ঐক্যের সংগঠক- কবি বোরহান মাহমুদ, মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মোজাহিদ), মাসুদুর রহমান, মুস্তফা হোসাইন, সাদীল আহমেদসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে শাহবাগে হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি ও মিষ্টি বিতরণ করে জুলাই ঐক্য ও জাগ্রত জুলাই।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন