সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

বিবিসির বিশ্লেষণ

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, ভবিষ্যৎ কী আ.লীগের

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই ট্রাইবুনাল আজ সোবমার (১৭ নভেম্বর) গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।।

এই রায়কে কেন্দ্র করে বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে- এর প্রভাব কী পড়বে আওয়ামী লীগের ওপর? কেননা দলটির নেতৃত্ব এখনো হাসিনার হাতেই রয়েছে-  প্রশ্ন উঠেছে এই রায়ের ফলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের রূপরেখা কী বদলে যেতে পারে বা কেমন হবে?

অন্তর্বর্তী সরকার গত কয়েক মাস ধরে ভারতে অবস্থানরত হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য দাবি জানাচ্ছে। আদালত অবমাননার মামলায় সাজা হওয়ার পরে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দেয়নি। তবে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর যদি একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হয়ে হাসিনার প্রত্যর্পণ বা তার রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে আরও জোরালো চাপ সৃষ্টি করে, তাহলে ভারতের পক্ষে সেই অনুরোধ উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

রায় ঘোষণার আগেই আদালত ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে- যার নিন্দা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে দলটির কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করেছে।

সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রায় অদৃশ্য। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা বর্তমানে নির্বাসনে, অনেকেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, অন্যরা কারাবন্দি। রায়ের পর যদি হাসিনার বক্তব্য বা দলীয় কার্যক্রমের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে দলটির ওপর চাপ আরও তীব্র হবে।

যদিও আওয়ামী লীগ বলছে- নেতৃত্ব নিয়ে কোনো অভ্যন্তরীণ মতভেদ নেই- তবুও বাড়তে থাকা আইনি সীমাবদ্ধতা, কঠোর রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ভারতের ওপর কূটনৈতিক চাপ দলটিকে ভবিষ্যতে নতুন কৌশল গ্রহণে বাধ্য করতে পারে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Link copied!