দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সহকারী শিক্ষকদের দুই সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ সময়ে পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনগুলো আরও জানায়, সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য তিন দফা দাবির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি এড়াতে পরীক্ষাকে আন্দোলনের বাইরে রাখা হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি পরে আলোচনা করে ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সকালে বৈঠক হলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বৈঠক না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তারপরও রোববার থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান, তাদের ক্ষতি আমরা চাই না। দুই দিন পিছিয়ে গেলেও শিক্ষাজীবন অচল হবে না।
তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকায় অভিভাবকদের চাপের মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। কেউ কেউ উত্তেজিতও হয়েছেন। তবে বছরের পড়াশোনা শেষ হওয়ায় দুই দিন পিছিয়ে পরীক্ষা হলে বড় কোনো সমস্যা হতো না। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি চলবে, তবে পরীক্ষা এতে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবির আন্দোলন চলমান অবস্থায় দেশে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে আন্দোলনে যুক্ত ৪২ শিক্ষককে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ ডিসেম্বরের আদেশে এ বদলি অনুমোদন দেওয়া হয়। বদলি হওয়া শিক্ষকদের তালিকায় আন্দোলনের পাঁচ শীর্ষ নেতা খায়রুন নাহার লিপি, মো. শামছুদ্দীন মাসুদ, মো. আবুল কাশেম, মো. মাহবুবর রহমান এবং মো. মনিরুজ্জামান অন্তর্ভুক্ত আছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন