সম্প্রতি দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বয়সসীমা সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির বয়স নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে।
নতুন নির্দেশনার মূল বিষয়সমূহ
দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির ভর্তিতে তুলে দেওয়া হয়েছে বয়সসীমা
পূর্ববর্তী নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে বয়সসীমা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করতে পারছিল না। নতুন নির্দেশনায় এই বয়সসীমা বাতিল করা হয়েছে।
ফলে বয়সসীমার কারণে যারা আগে আবেদন করতে পারছিল না, তারা এবার অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ঠিকভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স: জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য এটি নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ:
সর্বনিম্ন বয়স: ৫ বছর (জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১ বা তার আগে)
সর্বোচ্চ বয়স: ৭ বছর (জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ বা তার পরে)
ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে শিক্ষার্থীর অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত বয়স সুবিধা প্রদান করা হবে।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দেশের মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচারক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী জানিয়েছেন, ভর্তিতে বয়সসীমা সংক্রান্ত জটিলতা ও অভিযোগের কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য আবেদন করতে পারছিলেন না। এই কারণে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির বয়সসীমা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি
- অনলাইন ভর্তির আবেদন ফরম
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা বৈধ সনদ
মাউশি জানিয়েছেন, নতুন নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং স্বচ্ছ করবে। এটি দেশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রযোজ্য হবে।




সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন