রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হবে। এদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন—এর মধ্যে রাকসুতে ১১ এবং সিনেটে ৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত মোট ৯টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির ছাড়া কোনো ছাত্র সংগঠন বা স্বতন্ত্রভাবে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারেনি। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোয় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শেষে একই দিনে গণনা ও ফল ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের সর্বশেষ তথ্যমতে, এবারের নির্বাচনে ভিপি পদে ২০ জন, জিএস পদে ১৪ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ঘোষিত ৯টি প্যানেল হলো—ছাত্রদল মনোনীত ‘আবীর-জীবন-এষা’ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’, ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’, ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ‘অপরাজেয় ৭১’, ‘অপ্রতিরোধ্য ২৪’, ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’, ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’ ও ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’।
নাম প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—ভিপি পদে ২ জন, জিএস পদে ১ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১ জন, মিডিয়া সহপ্রকাশনা সম্পাদক ১ জন, সহ-পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ২ জন, নারীবিষয়ক সম্পাদক ১ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক ১ জন, বিতর্ক সম্পাদক ১ জন, কার্যনির্বাহী সদস্য ১ জন এবং সিনেটের ৩ জন প্রার্থী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। সেই সময়ের মধ্যে রাকসু থেকে ১১ জন এবং সিনেট থেকে ৩ জনসহ মোট ১৪ জন প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। আগামীকাল (রোববার) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। এ ধরনের দাবির যৌক্তিকতা আমরা বিবেচনা করছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর পরিণতি আমরা দেখেছি। তারপরও যদি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দাবি বা আবেদন আসে, সেটি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।’