ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

পরীক্ষায় ‘ধস’ নিয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের যে ব্যাখ্যা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
মতবিনিময় সভায় কথা বলেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। ছবি- সংগৃহীত

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৪ সালের তুলনায় এবারের ফলে রীতিমতো ধস নেমেছে; অকৃতকার্য হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ পরীক্ষার্থী; কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও।

গত বছর যেখানে ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছিল, সেখানে এবার অকৃতকার্যের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এ ছাড়া, গত বছর যেখানে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ (এ প্লাস) পেয়েছিল, এবার সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন পরীক্ষার্থী।

শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকাও অনেক বড় হয়েছে। গত বছর যেখানে শূন্য পাসের রেকর্ড গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫১, এবার সেখানে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩৪।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ফল প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরকে।

সেখানে তিনি বলেন, ‘যে ফল প্রকাশিত হয়েছে, সেটিই প্রকৃত ও সত্য। কোনো ধরনের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার জন্য কাউকে বলা হয়নি। সামগ্রিকভাবে এবারের ফলে প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে।’

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আগে কী হয়েছে, সেটি আমরা বলব না। তবে, এখন যে তথ্য দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। যা হয়েছে, সেটিই উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে, আমাদের কোনো হাত নেই।

আমাদের উপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে, রেজাল্ট যা হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, গোঁজামিল ও বাহুল্য এড়িয়ে এবং স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্ব দিয়েই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।