ইসরায়েলের চালানো এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শিশুশিল্পী হাসান আলা আয়াদ। দেশ বাঁচানো লক্ষ্যে এবং অবিচারের বিরুদ্ধে গান গাইত ছেলেটি। ছিটমহলে থাকত সে।
সোমবার (৫ মে) ফিলিস্তিনের নুসাইরাত শহরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালালে মৃত্যু হয় হাসান আয়াদের।
দেশ নিয়ে গাওয়া তার গান ভাইরাল হয়েছিল। হাজারো মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল সেই গান। দেশের ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা গান ও সুরের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিল যে ছেলেটা, সে আজ আর নেই।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াদের মৃত্যুর খবরে ‘আকাশ ভেঙে পড়েছে’ তার বাবার মাথায়। সন্তানের মৃত্যুর কথা শুনতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।
সন্তান হারিয়ে নিস্তব্ধ হাসান আয়াদের বাবা। কপাল চাপড়ে চাপড়ে শুধু কেঁদে চলেছেন তিনি।
তার সন্তান সমস্ত অনাথ শিশুদের মুখে হাসি ফোটাত, রিফিউজি ক্যাম্পে গান গেয়ে তাদের মনে আনন্দ দিত। এয়ার স্ট্রাইকে সে চলে যাবে কল্পনাও করতে পারেনি কেউ।
আয়াদের মৃত্যুতে ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক রশিদ মাশারাওয়ি বলেন, ‘হাসান আয়াদ, যে শিশুটি আমাকে গাজা থেকে একটি গান উৎসর্গ করেছিল, সে আজ শহীদ হয়েছে। সে তার মিষ্টি, হৃদয়বিদারক শিশুসুলভ কণ্ঠে জিরো ডিসটেন্স চলচ্চিত্রের জন্য গান গেয়েছিল।’
ফিলিস্তিনের শিশুশিল্পী হাসান আয়াদ। তার গানে ছিল বেদনা ও দুঃখ, ছিল দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসা গাজার প্রতি অন্যায় ও অবিচারের নানা শব্দ।