আবারও আলোচনায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক হেলেনা জাহাঙ্গীর। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন শিল্পী সমিতির এই সদস্য। এমনকি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছে।
গণঅভ্যুত্থানের আগে এক টকশোতে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। ওই টকশোতে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনাদের খালেদা জিয়া কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে? উনি তো রাতে মাদক সেবন করে ঘুমায়, এটা আমরা নিউজে পড়েছি।’
সময়ের ব্যবধানে তার সেই মন্তব্য আবারও নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি এক বিনোদন সাংবাদিক ওই ভিডিও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কোনো এক টকশোতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে চরম অপমানজনক মন্তব্য করার পরও হেলেনা জাহাঙ্গীর এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়! সিনেমা প্রযোজনা করে! মিডিয়ায় স্টেটমেন্ট দেয়! দিনকয়েক আগে ‘গোয়ার’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, প্রডিউস করেছে এই হেলেনা জাহাঙ্গীর। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের আমলে তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের কথা নাইবা বললাম। কিন্তু খালেদা জিয়াকে প্রকাশ্যে গালাগাল করলেও বিএনপির কারো তাতে আপত্তি নেই? থাকলে কি সে এখনো বাইরে ঘুরে বেড়াত?’
তিনি আরও লিখেন, ‘যদিও অন্য মামলায় কিছুদিন জেল খেটেছেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে অপমান করার জন্য তাকে কোনো মূল্য দিতে হয়নি। মনে হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে এটা এমন— ‘আল্লাহ বাঁচাইছে, আমার বাপকে জুতাপেটা দিছে, আমাকে তো কিছু করেনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এক নেতা বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর ম্যাডামকে নিয়ে খুবই আপত্তিকর কথা বলেছেন, যা ক্ষমার অযোগ্য। এমন কথা বলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরছেন এবং এফডিসিতে নিয়মিত যাতায়াত করছেন। নামমাত্র একটি সিনেমা করে স্বৈরাচারের দোসর চিত্রনায়িকা নিপুণের মাধ্যমে সদস্য হয়ে নির্বাচন করেছে। ম্যাডামকে নিয়ে কটূক্তি করায় তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

