তিন বছর সময় পেলেই নির্মাতা জেমস ক্যামেরন বানিয়ে ফেলেন এক-একটা নতুন মহাবিশ্ব। আগেও করেছেন, এবারও তা-ই করলেন। অ্যাভাটারের তৃতীয় কিস্তির প্রথম ট্রেইলার মুক্তির মধ্য দিয়ে আবার শুরু হয়েছে এক অলৌকিক যাত্রা। চোখ ধাঁধানো ভিজ্যুয়াল, মর্মস্পর্শী আবেগ, আর আগুনের তাপে পুড়তে থাকা প্যান্ডোরার নতুন অধ্যায়—সবকিছু মিলিয়ে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ যেন কেবল আরেকটা সিক্যুয়েল নয়, বরং জেমস ক্যামেরনের ম্যাগনাম ওপাস।

‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’-এর ঠিক তিন বছর পর এই নতুন ছবিতে জেক সালি, নিতিরি আর তাদের সন্তানদের নিয়ে নতুন করে যে পারিবারিক সংকট দেখা যাচ্ছে, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি জটিল।
একদিকে নতুন এক গোত্র অ্যাশ পিপল, যাদের শরীর আগুন আর ধোঁয়ায় ঢাকা, যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে ভ্যারাং নামের এক নারী চরিত্র। অন্যদিকে কোয়ারিচ, আগের শত্রু, এবার তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নামছে বিধ্বংসী খেলায়।
ট্রেইলারে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, আগুন এবার শুধু অস্ত্র নয়, বরং এক দার্শনিক শক্তি। যে শক্তি বলছে, ‘তোমাদের দেবী এখানে চলে না।’ প্যান্ডোরার সুনিবিড় বনভূমি জ্বলছে, জলের তিমিরাও কাঁপছে, আর আগুনের সেনাদের প্রতিহত করতে সালিদের সঙ্গে একজোট হচ্ছে সমুদ্রতলের গোত্র মেটকাইনা।

ছবিটিকে প্রথমে ‘ওয়ে অব ওয়াটার’-এর সঙ্গেই নির্মাণের কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু লেখার মাঝপথে ক্যামেরনের গল্প এতটাই বড় হয়ে যায় যে সেটাকে দুটি আলাদা খণ্ডে বিভক্ত করে ফেলতে বাধ্য হন এই নির্মাতা।
ফলে এখন ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ দাঁড়িয়ে আছে এমন এক পর্যায়ে যেখান থেকে গল্পটি নতুন এক মোড় নেবে। হয়তো এমনভাবে, যেটা এখনো আমাদের কল্পনারও বাইরে।
অনেকেই বলছেন, এই ছবি হতে যাচ্ছে ক্যামেরনের ‘এম্পায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক’, যেখানে একটা বড় ধাক্কা বা ক্লিফহ্যাঙ্গার অনিবার্য।
সিগর্নি উইভার, জো সালদানা, স্যাম ওয়ার্থিংটনের পাশাপাশি এবার আছেন ওনা চাপলিন, কেট উইন্সলেট, ডেভিড থিউলিস, মিশেল ইয়ো। এই তারকাবহুল কাস্টিং দেখে মনে হতেই পারে একটা পরিপূর্ণ, বহুস্তরীয় যুদ্ধের জন্য যেন ক্যামেরন সাজিয়ে এনেছেন তার সেনাবাহিনী।

ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর। এর পোস্টার ইতোমধ্যেই ঝড় তুলেছে সামাজিক মাধ্যমে। নতুন মুখ, নতুন শত্রু, পুরোনো সম্পর্ক—সবকিছু মিলিয়ে ‘অ্যাভাটার’-এর এই অধ্যায় শুধু চোখ নয়, হৃদয়ও পুড়িয়ে দেবে।
তথ্যসূত্র: আইও৯, ভ্যারাইটি, ডিজনি ডি২৩ এক্সপো, টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস
আপনার মতামত লিখুন :