রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজকরা আর্টসেলের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘জুলাই ৩৬: মুক্তির উৎসব’ কনসার্ট থেকে শেষ মুহূর্তে তাদের সরে যাওয়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আয়োজক কমিটির সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, ‘কোনো আলাপ ছাড়াই আর্টসেল প্রোগ্রাম বাতিলের পোস্ট দিয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই দ্বিতীয় তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। অবশ্যই তাদেরকে জরিমানাসহ পুরো আয়োজনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আয়োজন হবে বলেছি, আয়োজন হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ডগুলো পারফর্ম করবে। আর্টসেল না এলেও অনুষ্ঠান চলবে।’ আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন যে খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠানের পরবর্তী তারিখ জানানো হবে।
ক্ষতিপূরণ আদায় করতে প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাও উল্লেখ করেন আয়োজকরা । আর্টসেলের আচরণকে তারা অপেশাদারি হিসেবে অভিহিত করে বলছেন, এটি একধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং সংগঠনের প্রতি অসম্মানজনক।

আর্টসেলের কনসার্ট বাতিলের কারণ নিয়ে আয়োজকরা সন্দিহান। আম্মার জানান, ‘অনুষ্ঠানের নির্ধারিত তারিখ ৫ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্টে পরিবর্তন করে তাদের অফিসিয়ালি মেইল করা হয়। তখনও তারা কোনো আপত্তি জানাননি। সব ঠিক থাকলেও গতরাত ১টার দিকে হঠাৎ তারা মেসেজ দিয়ে কনসার্টে অংশ না নেওয়ার কথা জানায় এবং তারপর থেকে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’
যদিও এই কনসার্টকে কেন্দ্র করে গত ক’দিন ধরেই প্রতিনিয়ত হুমকি ও অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন আর্টসেল ব্যান্ড সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এমনকি ভোকালিস্ট জর্জ লিঙ্কন ডি’কস্টার স্ত্রী মিমোসা হাওলাদার তার সামাজিক একাধিক পোস্ট দিয়ে হুমকির বিষয়টা খোলাসা করেন।

রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই কনসার্টটি মূলত ৫ আগস্ট হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় আম্মার ৭৬ লাখ টাকার অনুদান সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠান। তবে কিছু চিঠি ফাঁস হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এবং কনসার্ট স্থগিত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা আসে, ১৫ আগস্টই বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এই পরিস্থিতিতে কনসার্টের আয়োজকরা এখন মূলত আর্টসেলের স্থগিতের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে এবং অন্যান্য ব্যান্ডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করার দিকে মনোনিবেশ করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন