শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

বিশ্বকে তাক লাগানো কে এই ফাতিমা?

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

ফাতিমা বশ। ছবি- সংগৃহীত

ফাতিমা বশ। ছবি- সংগৃহীত

৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চে ১২১ জন প্রতিযোগীর আলো ছাপিয়ে যখন এক তরুণীর মাথায় সেরার মুকুট উঠল, বিশ্ব তখন একটাই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, কে এই ফাতিমা বশ? মেক্সিকোর এই তরুণী শুধু সৌন্দর্যেই নয়, ব্যক্তিত্ব, সাহস ও মানবিকতায় জয় করেছেন কোটি হৃদয়।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে গতবারের বিজয়ী ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কিয়ার থেইলভিগ তার মাথায় পরিয়ে দেন মিস ইউনিভার্স ২০২৫–এর কাঙ্ক্ষিত মুকুট। কিন্তু তার সাফল্যের গল্প শুরু হয়েছিল অনেক আগেই অবহেলা, সংগ্রাম, অপমান আর লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।

২০০০ সালের ১৯ মে মেক্সিকোর তাবাস্কোর ভিলাহেরমোসায় জন্ম ফাতিমার। শৈশব থেকেই প্রাণবন্ত ও প্রকৃতিপ্রেমী এই মেয়েটি ছয় বছর বয়সে জীবনের কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হন। তার মস্তিষ্কজনিত জটিল রোগ ডিসলেক্সিয়া ও এডিএইচডি ধরা পড়ে। শিক্ষাজীবন যেমন হুমকির মুখে পড়ে, তেমনি হতাশাও ঘিরে ধরতে শুরু করে তাকে। কিন্তু পরাজয় ছিল না ফাতিমার অভিধানে। তিনি ঠিক করেন, দুর্বলতা নয় প্রতিটি বাধাকেই নিজের শক্তিতে পরিণত করবেন।

১৬ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। এক বছর পরে স্বপ্নপূরণের ডাক তাকে ফের টেনে আনে মেক্সিকোতে। আর মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি জিতে নেন ‘ফ্লোর তাবাস্কো’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট যা ছিল তার শৈশবের স্বপ্ন।

এরপর ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করেন মেক্সিকো সিটির ইবেরোমেরিকানা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ইতালির মিলানে নুওভা আক্কাদেমিয়া দি বেল্লে আর্তি–তে ডিজাইনের উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। অর্থাৎ ফাতিমা শুধু সুন্দরী নন তিনি মেধাবী, শিল্প–সচেতন ও উচ্চশিক্ষিত।

ফাতিমা বশের পরিচয় শুধু ‘মিস ইউনিভার্স’ নন। নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। প্রতিবার বড়দিনে তাবাস্কোর অনকোলজি হাসপাতালে তিনি শিশুদের জন্য আয়োজন করেন উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানের। তার উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে রুটা মোনার্কা এবং কোরাজোন মিগ্রান্তে যার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা, অভিবাসীদের অধিকার এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন তিনি।

সেই তরুণীর মাথায় উঠল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য মুকুট মিস ইউনিভার্স ২০২৫।

Link copied!