ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে ব্যাংকক যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়েন এ অভিনেত্রী। পরে তাকে ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর বিকেল পৌনে পাঁচটায় তাকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, নুসরাত ফারিয়াকে ডিবি হেফাজতে নিলে জানা যাবে তিনি কেন দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন।
তবে নুসরাত ফারিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছিলেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট আগেই নেওয়া ছিল।
এর আগে, রোববার দুপুরে ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে ইমিগ্রেশনে বাধার মুখে পড়েন তিনি। এরপর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ‘আশিকী’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড়া পর্দায় অভিষেক হয় ফারিয়ার। এরপর ২০২৩ সালে শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
তবে হাসিনার দেশ থেকে পালানোর পরেই জনরসে পড়েন নুসরাত ফারিয়া। কারণ দেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারিয়া বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকটা বাঙালি মেয়ের মধ্যে একটা করে হাসিনা রয়েছেন।’ তাইতো হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলেও আখ্যা দিচ্ছেন নেটিজেনরা।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও একই দিন রাত ১২টার দিকে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :