এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীর কিছু ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়। যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ছবিগুলোতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পাশে গামছা পরে এক গাছের নিচে শুয়ে আছেন তিনি।
অনেকেই অভিনেতার ছবিটি শেয়ার করে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেন ছবিটি আসল নাকি কোনো শুটিংয়ের?
বিষয়টি নিশ্চিত হতে ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় নিশ্চিত হওয়া যায়, ঘটনা সত্য। এমনকি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে অভিনেতাকে উদ্ধার করার পর পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলমও জানান সমু চৌধুরী কিছুটা অসুস্থ।
এ ছাড়া অভিনয়শিল্পী সংগঠনের নেতা রাশেদ মামুন অপু ফেসবুক পোস্টে জানান, সমু’দা এখন অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ এর তত্ত্বাবধানে আছেন। খবর পাওয়ার সঙ্গেই সংগঠন থেকে দ্রুত খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। আপাতত তাকে পার্শ্ববর্তী নিরাপদ জায়গায় নেয়া হয়েছে। ওনার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে যতদ্রুত সম্ভব ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। সমস্ত প্রক্রিয়াটি অভিনয় শিল্পী সংঘের বিশেষ তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে।
তবে অভিনেতা সমু চৌধুরী কীভাবে এখানে এসেছেন, কখন এসেছেন- এ বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, অভিমান করে কয়েক বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন সমু চৌধুরী। প্রায় তিন বছর কোনো কাজ করেননি তিনি। নিজের গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে যান। পরে শিল্পী ঐক্য জোটের মাধ্যমে আবারও অভিনয়ে ফিরে আসেন। এরপর থেকে নিয়মিতই কাজ করে যাচ্ছিলেন দাপুটে এই অভিনেতা।
সমু চৌধুরীকে সবশেষ দেখা গেছে, ‘ক্ষতিপূরণ’ নামের একটি নাটকে। এটি নির্মাণ করেছিলেন মোস্তফা কামাল রাজ। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী।
১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূ’ সহ বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেন।
