শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা—কোনো ঋতুতেই যেন ঢাকা আরামদায়ক নয়। আসল চৈত্র মাস আসলো সবেমাত্র ৫ দিন হলো। ক’দিন থেকেই ঢাকায় বাড়ছিল তাপমাত্রা। দিচ্ছিল চৈত্র মাসের আগমনী বার্তা। গরমের ক্লান্তি জেঁকে বসে শরীরে-মনে। আর শরীর-মনে প্রশান্তি আনে গোসল। আমাদের মতো আবহাওয়ার দেশে দিনে হোক বা রাতে—প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করা উচিত।
প্রতিদিন গোসলের উপকার আছে?
প্রতিদিন গোসলের প্রয়োজন নেই এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা একমত হলেও সপ্তাহে ঠিক কতবার গোসলের প্রয়োজন তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। ত্বকের ধরণের ওপর ভিত্তি করে সপ্তাহে এক বা দুইদিন কিংবা বা এক/দুই/তিন দিন পরপর গোসল করা যেতে পারে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এক বা দুই দিন পরপর, আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সপ্তাহে এক বা দুই দিন গোসল করতে পারেন।
তবে, যাদের ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়, শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম করেন কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে কাজ করেন তাদের প্রতিদিনই গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন গোসলের প্রয়োজন না থাকলেও হাত এবং মুখ পরিষ্কার করা এবং অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মত হলো, সর্বোচ্চ দু’বার গোসল করলে উপকার মিলবে এই গরমে। তার মতে, বেশি গোসল করলে শরীরে একটু স্বস্তি মেলে ঠিকই, তবে ক্ষতিই বেশি। তাই দিনে দু’বারের বেশি গোসল একেবারেই করা উচিত নয়। এতে কিছু ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। যদিও গোসলের সময়ের কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই। তাই বাইরের ধুলাবালির পরিবেশ থেকে ফিরে একবার গোসল করে নেওয়া ভালো। আর রাতে একবার ঘুমানোর আগে গোসল করতে পারেন।
প্রতিদিন গোসলের ক্ষতি কী?
আমাদের ত্বক থেকে এক ধরনের তেল নিঃসরিত হয়, যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। এছাড়াও, ত্বকের বাইরের স্তরে কয়েক ধরনের স্বাস্থ্যকর জীবাণু বাস করে যারা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ভূমিকা রাখে।
গোসলের সময় ত্বকের নিঃসরিত তেল এবং এসব জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যায়, যা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ত্বক উজ্জ্বলতা হারিয়ে খসখসে হয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে চুলকানি অনুভূত হতে পারে। এমনকি ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে সংক্রামক রোগও হতে পারে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, গরমের সময় অল্প সময়ে গোসল শেষ করা উচিত। কেননা, গরমের সময় পানিও দ্রুত সময়ে গরম হয়ে যায়। আর গরম পানিতে দীর্ঘক্ষণ গোসল করলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে ক্লান্তি ও হিট স্ট্রোকসহ নানা ধরনের জটিল পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকে।
বিপরীতে কম পানি দিয়ে গোসল করলে এই সম্ভাবনা থাকে না। একই সঙ্গে ত্বকের জ্বালাও আটকানো যায়। গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভান্ডার ছিঁড়ে ফেলে। এতে ত্বক শুষ্ক হয়। ফুসকুড়িরমত সংবেদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়।

 
                             
                                    

 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন