রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

প্রোটিনের জনপ্রিয় উৎস ভেড়ার মাংস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

প্রোটিনের জনপ্রিয় উৎস ভেড়ার মাংস

রান্না করা ভেড়ার মাংস। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর প্রাণিজ খাদ্য হিসেবে ভেড়ার মাংস পরিচিত। ভেড়ার মাংস গরু বা ছাগলের মাংসের তুলনায় একটু বেশি কোমল, ঘন ও সুগন্ধযুক্ত। দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বহু দেশেই ভেড়ার মাংস বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ও উৎসবমুখর খাবারের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ভেড়ার মাংস একটি জনপ্রিয় প্রোটিন উৎস। যা স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। 

ভেড়ার মাংসের পুষ্টিগুণ

উচ্চমানের প্রোটিন- ভেড়ার মাংস প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা শরীরের পেশী গঠন, টিস্যু মেরামত এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আয়রন- ভেড়ার মাংসে হেম আয়রন থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। এই আয়রন শরীর সহজে শোষণ করতে পারে।

জিংক- জিংক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে এবং কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন বি গ্রুপ- বিশেষ করে ভিটামিন বি১২, যা নার্ভ সিস্টেমের সঠিক কার্যক্রম, রক্তকণিকা তৈরি এবং শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। এছাড়া বি৩, বি৬ এবং রিবোফ্লাভিন থাকে।

ক্রিয়েটিন ও কার্নোসিন- এই উপাদানগুলো পেশির কর্মক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, বিশেষ করে যারা কায়িক শ্রম বা শরীরচর্চা করেন তাদের জন্য উপকারী।

স্বাভাবিক ফ্যাট- ভেড়ার মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, তবে তা মাঝারি পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এতে লিনোলেইক অ্যাসিড থাকে, যা কিছু গবেষণায় চর্বি হ্রাস ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ভেড়ার মাংস কি হালাল?


হালাল-হারাম সম্পর্কিত কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত মূলনীতি অনুসারে যেসব পশু পাখির গোশত খাওয়া হালাল তা হলো- উট, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হরিণ, খরগোশ, গরু (বন্য গরুসহ), বন্য গাধা, হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী এবং মাছ (চিংড়িসহ), ইত্যাদি।

ভেড়ার কোন অংশ হারাম?

জবাই করা হালাল পশুর সাতটি অংশ খাওয়া জায়েজ নয়: ১- প্রবাহিত রক্ত ​​(এটি সম্পূর্ণ হারাম) ২- যৌনাঙ্গ ৩- অণ্ডকোষ, ৪- মূত্রাশয়, ৫- পিত্তথলি, ৬- গ্রন্থি।

ভেড়ার মাংস শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

 ভেড়ার মাংসের উপকারিতা

উচ্চ মানের প্রোটিন সরবরাহ করে-ভেড়ার মাংসে রয়েছে সম্পূর্ণ প্রোটিন, যা দেহের কোষ পুনর্গঠন, পেশি বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধে সহায়ক।

আয়রনের উৎকৃষ্ট উৎস- ভেড়ার মাংসে থাকা হেম আয়রন দেহে সহজে শোষিত হয় এবং রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে- ভেড়ার মাংসে রয়েছে জিঙ্ক, যা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখে- ভেড়ার মাংসে থাকা ভিটামিন বি১২ ও অন্যান্য বি-ভিটামিন স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সরবরাহ করে- ভেড়ার মাংস সংযুক্ত লিনোলেইক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন উপাদান দেহের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

শক্তি ও সহনশক্তি বাড়ায়- ভেড়ার মাংসে থাকা ক্রিয়েটিন ও কার্নোসিন পেশির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করেন।

সঠিকভাবে গ্রহণ করলে হৃদ্‌রোগ ঝুঁকি কমাতে সহায়ক- ভেড়ার মাংসে থাকা সংযুক্ত লিনোলেইক অ্যাসিড ও ভালো মানের ফ্যাট কিছু গবেষণায় হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

ভেড়ার মাংস পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে।

ভেড়ার মাংসের অপকারিতা

কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি: ভেড়ার মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং এতে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে।

ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি ও গাঁটে ব্যথা: ভেড়ার মাংসে পুরিন থাকে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। এর ফলে গাঁটে ব্যথা, বিশেষ করে পায়ে ব্যথা, ফোলা ও জ্বালা হতে পারে।

হজমের সমস্যা: ভেড়ার মাংস তুলনামূলকভাবে একটু ভারী, তাই যারা হজমে দুর্বল বা পিত্ত সমস্যা আছে, তাদের পেটে গ্যাস, অম্বল, বা অস্বস্তি হতে পারে।

তাপে পুড়ে যাওয়া চর্বিতে ক্ষতিকর যৌগ তৈরি: অতিরিক্ত ঝলসানো বা পুড়িয়ে রান্না করলে মাংসে হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস ও পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন  তৈরি হতে পারে—যা কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রাকৃতিক হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: অনেক ক্ষেত্রে মাংসে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরে হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

পরজীবী বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: যদি ভালোভাবে রান্না না করা হয়, তাহলে এতে থাকা টক্সোপ্লাজমা, সালমোনেলা বা ইকোলাই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!