শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

গর্ভাবস্থায় পানিফল খাওয়ার উপকারিতা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

পানিফল। ছবি: সংগৃহীত

পানিফল। ছবি: সংগৃহীত

পানিফল ভাসমান বিস্তৃত জলজ উদ্ভিদ। পানি ফলের আরেকটি নাম শিঙ্গাড়া। দেখতে সিঙ্গারার মতো-তাই জামালপুরে পানিফল সিঙ্গারা নামে বেশি পরিচিত। এ ফলে কোনো বীজ নেই। লতাপাতার মতো সারা বছরই দেখতে পাওয়া যায়। নিচু এলাকায় মৌসুমি ফসল হিসেবে পানি ফল চাষ করা হয়। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এটি কাঁচা এবং সিদ্ধ উভয় প্রকারে খাওয়া যায়।

পানিফলের পুষ্টিগুণ

শর্করা: পানিফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এতে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ দ্রুত বাড়ে না।

আঁশ: পানিফল হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আঁশের কারণে এটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন ও খনিজ

ভিটামিন বি৬, রিবোফ্লাভিন ও ফলেট: স্নায়ুতন্ত্র ও রক্ত উৎপাদনের জন্য জরুরি।
পটাশিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ম্যাঙ্গানিজ ও কপার: হাড়ের গঠন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কার্যক্রমে সহায়ক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান: পানিফলে ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল থাকে, যা শরীরে ফ্রি র‍্যাডিকেল কমিয়ে দেয় এবং বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে।

পানিফল  শুধু স্বাদের জন্যই নয়, বরং নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। 

পানিফল খাওয়ার উপকারিতা

শক্তি জোগায় ও ক্লান্তি দূর করে: পানিফলে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। যা দেহে ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। এটি তাৎক্ষণিক এনার্জি দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ উদ্যম বজায় রাখে।

হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: এতে থাকা আঁশ হজম শক্তি বাড়ায় এবং মল নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: পানিফলে পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি: পানিফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ দ্রুত বাড়ায় না। তাই এটি ডায়াবেটিকদের জন্য নিরাপদ খাবার।

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: পানিফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমাতে সহায়ক।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: পানিফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে: পানিফল মূত্রবর্ধক, অর্থাৎ এটি দেহের অতিরিক্ত পানি ও বিষাক্ত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে।

বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রতিরোধ করে, ফলে ত্বকে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে।

অ্যালার্জি ও প্রদাহ হ্রাস করে: পানিফলের কিছু প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালার্জি প্রতিরোধ ও প্রদাহ প্রশমনে কাজ করে।

গর্ভাবস্থায় পানিফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থা একটি সংবেদনশীল সময়, যেখানে মায়ের শরীর ও ভ্রূণের সুস্থতা নির্ভর করে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের ওপর। এই সময়ে পানিফল হতে পারে একটি উপকারী ও নিরাপদ খাদ্য উপাদান। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

পানিফল উপকারি হলেও  অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। 

পানিফল খাওয়ার অপকারিতা

কাঁচা পানিফলে সংক্রমণের ঝুঁকি: কাঁচা পানিফল খাওয়া নিরাপদ নয়, কারণ এটি জলাভূমিতে জন্মায় এবং এতে ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর সংক্রমণ থাকতে পারে। এটি পেটের অসুখ, আমাশয় বা টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

হজমে সমস্যা হতে পারে: যাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল বা যকৃতের সমস্যা আছে, তারা অতিরিক্ত পানিফল খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজম বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা অনুভব করতে পারেন।

অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে: যদিও আঁশযুক্ত খাবার হজমে সহায়ক, তবে অতিরিক্ত আঁশ কখনো কখনো মলের গঠন শক্ত করে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে।

ঠাণ্ডা প্রকৃতির হওয়ায় ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা বাড়াতে পারে: পানিফল "ঠাণ্ডা" প্রকৃতির ফল, তাই যাদের ঠাণ্ডা-কাশি বা ব্রঙ্কাইটিসজনিত সমস্যা আছে, তারা বেশি খেলে উপসর্গ বাড়তে পারে।

অ্যালার্জি হতে পারে: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পানিফল খাওয়ার পর ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা গলা চুলকানোর মতো হালকা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অতিরিক্ত গ্রহণ বিপজ্জনক হতে পারে: যদিও এটি লো গ্লাইসেমিক, তবুও এতে শর্করা রয়েছে। অতিরিক্ত খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

শক্ত খোসা দাঁতের ক্ষতি করতে পারে: পানিফলের খোসা খুব শক্ত, তাই খোসা ভাঙতে গিয়ে দাঁত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!