মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৫, ০৬:১২ এএম

শিশুর ফোনের প্রতি আসক্তি কমাবেন যেভাবে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৫, ০৬:১২ এএম

শিশুদের খাওয়ার সময় ও পড়ার সময় স্মার্টফোন একেবারে নিষিদ্ধ রাখতে হবে। ছবি- সংগৃহীত

শিশুদের খাওয়ার সময় ও পড়ার সময় স্মার্টফোন একেবারে নিষিদ্ধ রাখতে হবে। ছবি- সংগৃহীত

স্মার্টফোন আজকাল শিশুদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে বিভিন্ন গবেষণা বলছে, স্মার্টফোন শিশুকে ‘স্মার্ট’ করে-এই ধারণা বাস্তবসম্মত নয়। বরং এর কারণে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’ জানিয়েছে, শিশুদের ঘুমের সময় স্মার্টফোন ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদিও বাস্তবে সন্তানকে এই নিয়ম মানাতে গিয়ে অভিভাবকদের হিমশিম খেতে হয়।

এদিকে কিছুটা স্বস্তির তথ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা।

এতে বলা হয়েছে, ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করলে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও ঘুমাতে দেরি হয় এবং সকালে উঠতেও সময় লাগে।

১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরদের নিয়ে চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে, যদি তারা গোপনে ঘুমানোর সময় ফোন ব্যবহার করে, তখনই এর নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

গবেষক ব্র্যাডলি ব্রসনান বলেন, ঘুম আর স্ক্রিন একসঙ্গে চললে ক্ষতি হয়। আপনি ঠিক করুন- স্ট্রিমিং করবেন, না ড্রিমিং?

তবে তিনি জানান, ছোট শিশু ও কিশোরদের ওপর স্মার্টফোনের প্রভাব এক নয়। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের ঘাটতি মনোযোগহীনতা, মানসিক চাপ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।

এ অবস্থায় অভিভাবকদের করণীয় কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর দৈনন্দিন রুটিনে ফোন ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। খাওয়ার সময় ও পড়ার সময় স্মার্টফোন একেবারে নিষিদ্ধ রাখতে হবে।

ব্রসনান বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক একসঙ্গে অনেক কিছু করতে পারে না। পড়ার সময় যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় মন যায়, তাহলে পড়ায় মনোযোগ থাকবে না।

তবে স্কুলের কাজের জন্য অনলাইন ব্যবহার লাগতেই পারে। তাই অভিভাবকদের উচিত ফোন ব্যবহারে একটি স্পষ্ট সীমারেখা তৈরি করা। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকি যেমন সাইবার বুলিং, সেক্সট্র্যাপ বা ভুয়া প্রোফাইল সম্পর্কেও শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, সন্তানকে নিয়ে অনলাইনে সময় কাটানো, একসঙ্গে কিছু শেখা বা অ্যাপ ব্যবহার করাও হতে পারে নিরাপদ অনলাইন অভ্যাস তৈরির ভালো উপায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ধীরে ধীরে ফোন ব্যবহারে তাদের সচেতন করে তোলা। এতে শিশুর মধ্যেই আত্মনিয়ন্ত্রণের অভ্যাস গড়ে উঠবে-যা ভবিষ্যতে তার জন্য সহায়ক হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!