জুলাই ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে রিক্রিয়েট ও সেলিব্রেট করা, ঐক্যের বার্তা দেওয়া এবং রাষ্ট্র ভবিষ্যতে কোন পথে যাবে তা তুলে ধরা জরুরি ছিল। আমরা বিশ্বাস করি, ঘোষণাপত্রে সবার প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।’
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘সো ফার, সো গুড। সরকারে থাকতে এখনই বিস্তারিত মন্তব্য করব না। তবে এতদূর পর্যন্ত আমরা আসতে পেরেছি এটাই বড় কথা। যদি আমরা দীর্ঘ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব।’
এদিকে, ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, বিএনপি যেসব বিষয় চায়নি তার কিছু অংশও ঘোষণাপত্রে এসেছে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এ ঘোষণাপত্রে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই। বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঘোষণাপত্র হয়েছে, এটাকে স্বাগত জানাই। ভালোভাবে পড়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়া হয় জুলাই ঘোষণাপত্রে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে। ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে উল্লেখ করা হবে।
ঘোষণাপত্রটি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মূল দলিল হিসেবে বিবেচিত, যা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :