মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়কে কেন্দ্র করে ৩ বিচারক ও প্রসিকিউটরদের হত্যার হুমকির ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মো. শরীফ (২০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর তানভীর জোহা।
গ্রেপ্তার শরীফ ভোলার লালমোহন থানার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাতআনি এলাকার মো. হারুনের ছেলে।
এর আগে, সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একইসঙ্গে মামলার অন্য দুই আসামি—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফাঁসি এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে; তাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসির যোগ্য হলেও সত্য উন্মোচনে সহায়তা করায় সাবেক আইজিপি মামুনের শাস্তি কমানো হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনা ড্রোন, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি’ পালন করেছেন; আর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও পরবর্তী সময়ে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনাগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন বিচারক।
বিচার চলাকালে উপস্থাপিত অডিও–ভিডিও প্রমাণ, সাক্ষ্য, ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের বর্ণনা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে পাওয়া তথ্য–উপাত্ত রায় ঘোষণার সময় তুলে ধরা হয়। যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার, আশুলিয়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহারের ভিডিও ও প্রমাণও ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন