খালি পেটে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

খালি পেটে চিড়া খাওয়া বহু আগে থেকেই আমাদের উপমহাদেশের গ্রামীণ খাবারের অংশ। সকালের নাশতায় অনেক বাড়িতেই এখনো এই খাবারটি খাওয়া হয়। এটি শুধু সহজলভ্য নয়, বরং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। পেটের সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময় পরিবারের বড়রা চিড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে খালি পেটে চিড়া খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন তরুণদের কাছে সকালের নাশতা হিসেবে পছন্দ ওটস, কর্ণফ্লেক্স, টোস্ট জাতীয় খাবার। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যদি সকালে স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা চিন্তা করেন তবে ওটস বা কর্ণফ্লেক্সের তুলনায় অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে চিড়া। যাদের দুধ খেলে পেটে সমস্যা হয় তারা চিড়ার সঙ্গে দই মিশিয়ে খেতে পারেন।

কোয়েলের ডিম ছোট কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর

বিস্তারিত পড়ুন

খালি পেটে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা

১. হালকা এবং সহজপাচ্য

চিড়া খুবই হালকা একটি খাবার। খালি পেটে এটি খাওয়া পেটে ভারী মনে হয় না, বরং সহজেই হজম হয়। তাই সকালের নাস্তায় এটি একটি চমৎকার অপশন।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

চিড়ায় সোডিয়ামের পরিমাণ কম, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা ব্লাড প্রেশারের রোগী, তাদের জন্য এটি একটি উপকারী খাবার।

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

বিস্তারিত পড়ুন

৩. শক্তির উৎস

চিড়া কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ, যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। খালি পেটে খেলে শরীর সারাদিনের কাজের জন্য এনার্জি পায়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

চিড়া কম ক্যালোরিযুক্ত এবং ফ্যাটহীন, তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য ভালো একটি বিকল্প। খালি পেটে খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব হয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।

৫. রুচি এবং হজমশক্তি বাড়ায়

চিড়ার সঙ্গে দই, কলা বা গুড় মিশিয়ে খেলে তা হজমে সহায়তা করে এবং রুচি বাড়ায়। এটি পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।

৬. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

চিড়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলকভাবে কম, তাই এটি রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াই ভালো।