বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’ পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান 

হাজার কোটি টাকা খেয়েও অধরা 

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

হাজার কোটি টাকা খেয়েও অধরা 

*** বিদুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এই খাতটি ধ্বংস হয়েছে গত ১৫ বছরে। বিদেশি চুক্তির নামে অসম চুক্তি হয়েছে একের পর এক। যারা এতে যুক্ত রয়েছেন অর্থাৎ, দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খালেদ মাহমুদের বিষয়ে আপনার (প্রতিবেদকের) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অনুসন্ধান পরিচালনা করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পিডিবির অন্য যেসব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান পরিচালিত হবে।’ 

২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ। আগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. শামসুল হাসান মিয়ার স্থলাভিষিক্ত খালেদ মাহমুদ ছিলেন পিডিবির ৩৪তম চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে এমন কোনো দুর্নীতি নেই, যা এই খালেদ মাহমুদের সময়ে হয়নি। ভারতের আদানির সঙ্গে চুক্তিসহ দেশি-বিদেশি শতাধিক চুক্তি সাক্ষর হয় খালেদ মাহমুদের সময়। সব চুক্তি থেকেই নিজের জন্য ১০ শতাংশ রাখতেন তিনি। ফলে একপর্যায়ে খালেদ মাহমুদ পরিচিতি পান ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’ হিসেবে। দায়িত্বে থাকাকালীন প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে জার্মানি, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ফ্রান্স, ইউএসএ, চেক রিপাবলিক, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ কোরিয়ায় ভ্রমণ করেন সরকারি খরচে। এখানেই শেষ নয়, চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েও চালিয়েছেন নানা তদবির বাণিজ্য। এসবের বিনিময়ে রাজধানীতেই শতকোটি টাকার একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে বিদেশে পাচার করেছেন বিপুল অর্থ।  

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র কমিটির বিচারে যদি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হয় শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের একটি, তাহলে এই বিদ্যুৎ ভবন তার আঁতুড়ঘর। এই ভবনে বসে আইনের মারপ্যাঁচ করে আওয়ামী লীগ আমলে নয়-ছয় হয়েছে অন্তত ৭২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা যেমন সাবেক সরকারের রাজনীতিসংশ্লিষ্ট পুঁজিপতিদের পকেটে গেছে, পাশাপাশি বিদ্যুৎ ভবনের কর্তাদের পকেটেও গেছে, যাদের মূল হোতা ছিলেন এই খালেদ মাহমুদ। তার সময়েই ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। তার সময়েই ভারতের আদানির সঙ্গে চুক্তি হয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের। এই বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ করে বেশ কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যম। এখান থেকেও ১০ শতাংশ টাকা আত্মাসাৎ করেছেন খালেদ মাহমুদ। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আমদানি করা কয়লার বেশি দাম দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। গত বছর উৎপাদনে যাওয়া ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার এক দশমাংশ পূরণ করে। 

আদানির সঙ্গে চুক্তিতে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘আমরা চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখছি। অসংগতি থাকলে আদানির সঙ্গে পুনরায় আলোচনা হবে।’ দুর্নীতি ও ঘুষের মতো অনিয়ম হয়ে থাকলে চুক্তি বাতিল হবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। বাংলাদেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। এই খাতে সরকারকে প্রতি বছর ৩২০ বিলিয়ন টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বলে জানান জ¦ালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘দাম বেশি হওয়ায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমরা চাই বিদ্যুতের দাম শুধু আদানি থেকেই নয়, গড় খুচরা দামের নিচে নামুক।’

এই চুক্তিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসরকারি শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৎকালীন বিদ্যুৎসচিব ড. আহমেদ কায়কাউসকে প্রভাবিত করেন খালেদ মাহমুদ। দেশের উৎপাদনক্ষমতা চাহিদার চেয়ে বেশি হলেও শুধু নিজেদের স্বার্থে এই চুক্তি করে তৎকালীন সরকার। 

ওয়াপদা ভবনে ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’ নামে পরিচিত খালেদ মাহমুদ আবার কারও কাছে পরিচিত ছিলেন নগদে ঘুষ গ্রহণকারী হিসেবে। তিনি অবসরের পর বসবাস করছেন রাজকীয় হালে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে সাড়ে ১২ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটে, যার দাম ২৫ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর নামেও তিনি গড়েছেন অনেক সম্পদ। বিদেশেও অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে এর তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর গোয়েন্দা ইউনিট। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, পিডিবির সাবেক এই চেয়ারম্যান সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ঊর্ধ্বতনদের ‘ম্যানেজ’ করে দ্রুততম সময়ে পিডিবির চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসেন। ২০১৬ সালের আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তৎকালীন বিদ্যুৎসচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের আশীর্বাদে আরও দুই বছরের জন্য তার চুক্তি বাড়ানো হয়। ভারতের আদানির সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তির পাশাপাশি দেশের ভেতরেও ডজনের বেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে পিডিবি। সব চুক্তিতেই নিজের জন্য ১০ শতাংশ খালেদ মাহমুদের নামে বরাদ্দ থাকত বলে জানিয়েছেন পিডিবরি এক কর্মকর্তা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আপনারা একটু খোঁজ নিলেই তার দুর্নীতির চিত্র পাবেন। একজন সর্বোচ্চ পদের সরকারি কর্মকর্তার বেতন কত? অথচ তিনি অবসরের পরও গুলশানের ২ নাম্বার রোডের ৫০ নম্বর সড়কে একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে বাস করেন।’ 

সম্পদের পাহাড়: 

এনবিআরের নথিপত্র ঘেটে জানা যায়, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর সময়ে ১২ হাজার ৬৭৮ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাট আয়কর নথিতে দেখান খালেদ মাহমুদ। দাম ২৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। ২১ কোটি টাকা শোধ করেন নগদে। যদিও এর বাজারমূল্য আরও বেশি, বলছেন গোয়েন্দারা। এই ফ্ল্যাট কিনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগও নেন খালেদ মাহমুদ। কর দেন মাত্র ৯৬ লাখ টাকা। তবে টাকার উৎস আয়কর নথিতে নেই। পূর্বাচলে সরকারের কাছ থেকে জমিও নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ। ২৫ নম্বর সেক্টরে তার প্লটটি ৭ কাঠার বেশি। জন্মস্থান ময়মনসিংহেও ৩ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে খালেদ মাহমুদের, যার দাম দেখানো হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ টাকা। ব্যাংকে এফডিআর আছে সোয়া ২ কোটি টাকার। আছে কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনও।

গড়েছেন স্ত্রীর নামে রাজপ্রাসাদ : 

নিজের নামে যখন সম্পদ আর কিনতে পারছিলেন না বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে চাইছিলেন, তখন খালেদ মাহমুদ তার স্ত্রী সায়মা জোহরার নামে সম্পদ রাখতে শুরু করেন। কূটনৈতিক এলাকা বারিধারায় শেলটেকের একটি ভবনে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে সোয়া ৩ হাজার বর্গফুটের বিশাল একটি ফ্ল্যাট, যার দাম দেখানো হয়েছে মাত্র কোটি টাকার কিছু বেশি। অথচ বাজারমূল্য ৬ কোটি টাকার বেশি, যা বর্তমানে বিদেশিদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর আরেক অভিজাত এলাকা ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কেও রয়েছে হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। প্রায় ৩ কোটি টাকা বাজারমূল্যের এই ফ্ল্যাটের দাম দেখানো মাত্র ৭৫ লাখ টাকা। এটিও ভাড়া দেওয়া রয়েছে। আর তার নামে এফডিআর আছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার। সব মিলিয়ে মোট সম্পদ ৫ কোটি টাকার বেশি।

অর্থ পাচার করেছেন যুক্তরাষ্ট্র-সিঙ্গাপুরে : 

শুধু বাসস্থানেই ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন যিনি, তার মোট সম্পদ নিয়ে হিসাব-নিকাশ চালানো সম্ভব হলেও বিদেশে ঠিক কী পরিমাণ সম্পদ তিনি পাচার করছেন, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, খালেদ মাহমুদের পরিবারের অনেক সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে থাকেন। এ দুই দেশে অর্থ পাচারের তথ্যও খুঁজছেন গোয়েন্দারা। খালেদ মাহমুদের অবৈধ সম্পদের তথ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার হাতে আছে। তার পরও তথ্যবিহীন উৎস থেকে পাওয়া টাকায় কেনা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে দিব্যি কাটাচ্ছেন আয়েশি জীবন।

বর্তমানে রয়েছেন বেসরকারি একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে:

সরকারি চাকরি শেষ, তার সমর্থিত সরকারও আর ক্ষমতায় নেই। কিন্তু দাপটের সঙ্গে এখনো একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়া লীগের স য়ে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তা। যদিও কর গোয়েন্দারা বলছেন, তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু  তা ঠিক কবে নাগাদ তা নিয়ে কারও  কোনো মাথাব্যথা নেই। এত অনিয়ম করলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের কানেও এসেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অবৈধভাবে তার সম্পদ উপার্জনের বিষয়টি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ সুস্পষ্ট অভিযোগ করেনি। কোনো অভিযোগ না পেলেও দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে।’ 

সুষ্ঠু বিচারের দাবি টিআইবির:

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোগুলোতে বিদ্যুৎ খাতে যত লুটপাট হয়েছে, আর কোনো খাতে তেমনটি হয়নি। এই খাতের একেকজনের দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করা যাবে। আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি থেকে শুরু করে দেশীয় স্বার্থবিরোধী বেশ কিছু চুক্তি পিডিবির তৎকালীন চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদের প্ররোচনায় হয়েছে। এমনটি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কোনোভাবেই যেনো ‘ক্রিম’ খাওয়া লোক এখনো ‘ক্রিম’ খেতে না পারে, সে বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। 

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন: 

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ¦ালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে গত ১৫ বছর হরিলুট চলেছে। বিশেষ আইনের সুযোগে দরপত্র ছাড়াই শতাধিক বিদ্যুৎ চুক্তি হয়েছে। পিডিবির চুক্তিতে অনেক ধরনের বাড়তি খরচ ধরা হয়েছে। পদে পদে সুবিধা নিয়েছে তারা। এর ফলে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার নিয়ে গেছে আদানিসহ অন্যান্য কোম্পানি। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার বলে আমি মনে করি। 

একই কথা বলেন অপর জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম। তিনি বলেন, ‘খালেদ মাহমুদের মতো মানুষেরা ওই আমলেও দাপটের সঙ্গে জীবনযাপন করেছেন, এই আমলেও করছেন, যা মানা কঠিন। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া।’ 

খালেদ মাহমুদের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও জ¦ালানি উপদেষ্টা বললেন বিচার হবে:

সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত ০১৭১৩ সিরিয়ালের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রেখেছেন খালেদ মাহমুদ। তার গুলশানের বাড়িতে একাধিকবার প্রবেশ করতে চাইলেও সিকিউরিটি গার্ডের কাছে বাধাগ্রস্ত হতে হয় এই প্রতিবেদককে। তাই খালেদ মাহমুদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব না হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এই খাত ধ্বংস হয়েছে গত ১৫ বছরে।

বিদেশি চুক্তির নামে অসম চুক্তি হয়েছে একের পর এক। যারা এতে যুক্ত রয়েছেন অর্থাৎ, দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খালেদ মাহমুদের বিষয়ে আপনার (প্রতিবেদকের) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অনুসন্ধান পরিচালনা করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পিডিবির অন্য যেসব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান পরিচালিত হবে।’ 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!