গরমের সময় দেহের তৃষ্ণা মেটানো ও স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাকৃতিক ফল
তরমুজ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন ফল। লালচে রসালো ভেতর আর ঠাণ্ডা-মিষ্টি স্বাদে ভরা এই ফল শুধু পিপাসা মেটায় না, বরং শরীরের জন্য অনেক উপকারও নিয়ে আসে। বিশেষ করে গরমের দিনে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এবং পানিশূন্যতা রোধে তরমুজ অত্যন্ত কার্যকর।
শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে
তরমুজে রয়েছে প্রায় ৯২% পানি। ফলে এটি দ্রুত শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। গরমের দিনে তরমুজ খেলে শরীর থাকে সতেজ ও ঠাণ্ডা।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
তরমুজে থাকা “সিট্রুলিন” নামক অ্যামিনো এসিড রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি এতে থাকা লাইকোপিন হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সাধারণ ঠান্ডা, সংক্রমণ ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক
তরমুজে থাকা পানি ও সামান্য আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি পেটের ভারী ভাব দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ও সি ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং বার্ধক্যের ছাপ কমায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
কিডনি পরিষ্কার রাখে
তরমুজে থাকা উচ্চমাত্রার পানি কিডনি পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। এটি ইউরিনের পরিমাণ বাড়িয়ে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
তরমুজে ক্যালোরি খুব কম, কিন্তু পানি বেশি। তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে থাকে, বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
তরমুজ শুধু এক গ্রীষ্মকালীন মজার ফল নয়, বরং এটি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ, হার্টের সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ উপকারে আসে। তাই গরমে শরীর সতেজ রাখতে ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।