পৃথিবীতে এমনও স্থান ছিলো যেখানে পুরুষদের যাওয়া নিষেধ। তেমনই একটি দ্বীপ হলো, যেটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানে শুধু নারীদেরই রাজত্ব। তারা ইচ্ছেমতো আনন্দ-উৎসবে সময় কাটান।
ফিনল্যান্ডের উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপের নাম ‘সুপার শি আইল্যান্ড’। আর এই দ্বীপেই পুরুষের প্রবেশ ছিলো নিষেধ। তবে কেন পুরুষরা সেখানে যেতে পারতেন না?
রহস্যময় এই দ্বীপটি ৮ দশমিক ৪৭ একর জুড়ে। এটি কিনে নিয়েছিলেন মার্কিন এক নারী উদ্যোক্তা। যার নাম ক্রিস্টিনা রথ। আর তিনিই ওই দ্বীপে পুরুষ প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন।
ক্রিস্টিনা রথ দ্বীপটিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নারীদের জন্য একটি বিশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে। যেখানে তারা দৈনন্দিন জীবনের চাপ থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের সঙ্গে এবং অন্য নারীদের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ খুঁজে পেতে পারেন।
এই দ্বীপে অতিথিরা উপভোগ করতে পারতেন- যোগব্যায়াম, ধ্যানচক্র, সাউনা, সমন্বিত সুস্থতা কার্যক্রম এবং পুষ্টিকর খাবার।
‘সুপার শি আইল্যান্ডের’ ধারণাটি ছিল একই সঙ্গে সাহসী ও বিপ্লবাত্মক। এটি দ্রুতই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। অনেকে একে দেখেছেন নারী-স্বাধীনতা ও আত্মমুক্তির প্রতীক হিসেবে। একটি নিরাপদ স্থান যেখানে নারীরা নিজের শক্তি ও সম্ভাবনাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারেন। অন্যদিকে সমালোচকরা এর একচেটিয়াতা ও প্রতীকী বার্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তবে পরবর্তীতে দ্বীপটি বিক্রি আরেকজনের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। বর্তমানে এই ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়নি কিছুই।
তবু ‘সুপার শি আইল্যান্ডের’ উত্তরাধিকার এখনো অনুপ্রেরণার উৎস। এটি প্রমাণ করেছে, একজন নারীর দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহস কীভাবে বাস্তব রূপ নিয়ে নারীসংহতি, শক্তি ও প্রশান্তির এক জীবন্ত প্রতীক হতে পারে।