ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

বরইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
বরই খেতে ভালোবাসে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ছবি- সংগৃহীত

কুল বা বরই যে নামেই ডাকি না কেন, বরই খেতে ভালোবাসে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কাঁচা কিংবা পাকা, যেকোনোভাবেই বরই খাওয়া যায়। বরই সংরক্ষণ করে সারা বছর খাওয়া যায়। আচার বানিয়েও খাওয়া যায়। রোদে শুকানোর পর কাঁচা বরইয়ের নাম হয়ে যায় 'টোপা বরই'।

বরই কয়েক ধরনের হয়ে থাকে—দেশি বরই, নারকেলি বরই, বাউকুল, আপেল কুল ইত্যাদি। দেশি বরই ছাড়া সব বরই মিষ্টি স্বাদের হয়।

বরইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:

বরই সব ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস। বরইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ১০০ গ্রাম বরই শরীরের প্রায় ৭৭ শতাংশ ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বরইয়ে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যাল অনিদ্রাজনিত সমস্যা ও দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বরই শরীরের ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলোকে অকেজো করে দেয়। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস সমৃদ্ধ বরই খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। বরইয়ে থাকা প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখে।

বরই চর্বিহীন ও আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ায় ডায়েটিশিয়ানরা ওজন কমানোর জন্য বরই খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বরই অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। বরই গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

বরইয়ে থাকা স্যাপোনিন নামক পদার্থ মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ব্রেন ফাংশন ভালো করতে বরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বরইয়ে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণের জন্য চায়নায় বরইয়ের চা পান করা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শুকনা কিংবা কাঁচা বরই উভয়েই প্রদাহ উপশম করতে ভূমিকা রাখে। বরই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। ব্যথানাশক ওষুধের ক্ষেত্রে বরই অনেক সময় বিপরীতমুখী ভূমিকা পালন করে থাকতে পারে। তাই ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার সময় বরই এড়িয়ে যাওয়া ভালো।