ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের বার্ষিক সেপ্টেম্বার ইভেন্টে আইফোন এয়ার উন্মোচনের সময় সবাইকে চমক দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শিল্প ডিজাইনার আবিদুর চৌধুরী। তিনি ইভেন্টে নিজেকে সামনে দাঁড় করানোর পরিবর্তে ফোনটির বৈশিষ্ট্য ও নকশার দিকগুলো তুলে ধরেন এবং ‘ভবিষ্যতের এক টুকরো আইফোন তৈরির’ পরিকল্পনা আলোচনা করেন।
মাত্র ৫.৬ মিলিমিটার পুরুত্বের আইফোন এয়ারে গ্রেড ৫ টাইটানিয়াম ফ্রেম এবং উভয় পাশে সিরামিক শিল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটি চালিত হচ্ছে কোম্পানির সর্বশেষ A19 Pro চিপ দ্বারা। আবিদুর চৌধুরী বলেন, “এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা আইফোন, কিন্তু প্রো-এর শক্তি এতে রয়েছে। লক্ষ্য ছিল এমন একটি আইফোন তৈরি করা যা ভবিষ্যতের এক টুকরোর মতো মনে হবে।”
অ্যাপলের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের মতো শিল্প ডিজাইনার আবিদুর চৌধুরীরও ওয়েবসাইটে কোনো নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা নেই। ফলে তার সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন। এছাড়া, তার কোনো লিঙ্কডিন পেজও নেই, যা সাধারণত একজন পেশাদার ব্যক্তির পটভূমি সম্পর্কে তথ্যের মূল উৎস।
তবে তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি ‘উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি করতে আগ্রহী, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠবে’। ওয়েবসাইটে তাকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, লন্ডনে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা আবিদুর চৌধুরী ২০১৯ সাল থেকে অ্যাপলের সান ফ্রান্সিসকো অফিসে কাজ করছেন।
তিনি ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের লফবরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পণ্য নকশা ও প্রযুক্তিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অ্যাপলে যোগদানের আগে তিনি লন্ডনভিত্তিক ডিজাইন স্টুডিও ‘লেয়ার’-এ কাজ করেছিলেন এবং এক বছর ফ্রিল্যান্স শিল্প নকশা পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। ২০১৯ সালে তিনি অ্যাপলে শিল্প ডিজাইনার হিসেবে যোগদান করেন।
যদিও চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে তিনি হয়তো আইফোন এয়ার প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিয়েছেন অথবা এর নকশায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সম্ভবত এই কারণেই তাকে আইফোনের স্লিম ভেরিয়েন্টটি আত্মপ্রকাশ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মজার বিষয় হলো, আবিদুর চৌধুরী জানিয়েছেন, আইফোন এয়ারের ক্যামেরা প্ল্যাটফর্ম পুনরায় ডিজাইন করতে হয়েছে যাতে ক্যামেরা, চিপসেট ও সিস্টেম মডিউল ফিট করা যায়; যেমনটি আইফোন ১৭ প্রো মডেলগুলোতে দেখা যায়। বাকি জায়গার পুরো অংশ স্মার্টফোনের জন্য উচ্চ ঘনত্বের ব্যাটারি ফিট করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।