ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

অবশেষে দেশে আসছে পেপ্যাল

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল শিগগিরই বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, অনলাইন ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত হওয়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও চ্যানেল আই আয়োজিত ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

গভর্নর জানান, এলসি খোলার জটিলতার কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ছোট চালানে রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়ে। পেপ্যাল চালু হলে ইউরোপ, আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য পাঠানো সহজ হবে এবং দ্রুত রপ্তানি আয়ের টাকা দেশে আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশ থেকে পারিশ্রমিক আনতে যে সমস্যার সম্মুখীন হন, সেটিরও সমাধান হবে।

তিনি বলেন, পেপ্যাল একটি বৈশ্বিক ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা, যা অনলাইনে টাকা পাঠানো- গ্রহণ, বিল পরিশোধ এবং আন্তর্জাতিক কেনাকাটা দ্রুত ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করে। বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ক্রেতা–বিক্রেতা উভয়ের জন্য এতে রয়েছে নিরাপত্তা ও রিফান্ড সুরক্ষা।

নগদ লেনদেন কমানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশের দুর্নীতির মূলেই রয়েছে নগদের ব্যবহার। টাকা ছাপানো ও ব্যবস্থাপনায় বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়, যা কমাতে ধাপে ধাপে ডিজিটাল লেনদেনে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কৃষি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে মোট ঋণের মাত্র ২ শতাংশ কৃষি খাতে দেওয়া হয়, যা বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। এ ছাড়া এসএমই খাতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ব্যাংকগুলোর সক্ষমতার অভাবে যথাযথভাবে বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না।

খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন গভর্নর। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টন, যা এখন প্রায় ৪ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি, যা দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

অনুষ্ঠানে কৃষি খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আটজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পাঁচ শতাধিক আবেদন যাচাই-বাছাই করে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়।