মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম

দেড় হাজার মানুষ হত্যার নির্দেশদাতা হাসিনা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম

দেড় হাজার মানুষ হত্যার নির্দেশদাতা হাসিনা

শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে হাসিনার একাধিক ফোনালাপের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার কিছু টেলিফোনিক কনভারসেশন জব্দ করেছেন। এসব কনভারসেশনে সুস্পষ্টভাবে তদন্ত দল নিশ্চিত হয়েছে যে, তিনি রাষ্ট্রীয় সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও হেলিকপ্টার, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশসহ ৫টি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে প্রায় ১৫০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫০০০ মানুষকে আহত করা হয়েছে। টার্গেট করে শিশু হত্যা, নারীদের ওপর হামলা, আহতদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা, নিজে গিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যাতে না হয় সেই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এমন সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী যে সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা বাংলাদেশে একটি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ছিল, তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। চিকিৎসক, ভুক্তভোগী, শহীদ পরিবারের লোক, ভিডিও, অডিও, নিহত আহতদের শরীর থেকে পাওয়া গুলি, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল, অনেক সাক্ষীদের জবানবন্দি, আসামিদের জবানবন্দি এই তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের উসকে দেন। এর জেরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

এ ছাড়া, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র ও সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর, যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ২০২৪ সালের আইনি সংশোধনীর মাধ্যমে সম্প্রসারিত করা হয়, যাতে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর বিচার সম্ভব হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই ট্রাইব্যুনাল পুনরায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!