বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম

দ্বাদশ নির্বাচন ডামি ছিল, আদালতে স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি হাবিবুল

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ ও ‘প্রহসনের’ নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে শুনানিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আদালতে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘যদি নির্বাচন প্রহসনের হয়ে থাকে, তবে আপনি পদত্যাগ করেননি কেন?’ এর জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমার আগে কোনো সিইসি পদত্যাগ করেননি।’ তিনি তার বক্তব্যে অতীতের নানা বিতর্কিত নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবের কথাও তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানিতে এ কথা উঠে আসে। মামলাটি দায়ের করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক তিন সিইসি, কয়েকজন সাবেক আইজিপি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল (বুধবার) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একই মামলায় এর আগে সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।

এই মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, এ কে এম শহীদুল হক, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বিএনপির অভিযোগ অনুযায়ী, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনেই গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এতে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণ এবং হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে। বিচারিক তদন্তে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বড় ধাক্কা আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Link copied!