ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫

নতুন মামলায় পলক-মনিরুলসহ পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ফরিদ আহম্মেদ হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেপ্তা‌র দেখিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া একই থানার আব্দুর রাজ্জাক হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের সাবেক উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লা ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তা‌র দেখানো হয়েছে।

বুধবার (০৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৭ জুলাই ফরিদ আহম্মেদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান, পলক ও মনুকে গ্রেপ্তা‌র দেখানোর আবেদন করেন। আর ২২ জুলাই আব্দুর রাজ্জাক হত্যাচেষ্টা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাহিদ হাসান খান, শহিদুল্লা ও আবুল হাসানকে গ্রেপ্তা‌র দেখানোর আবেদন করেন।

পরে আজ তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ দিন সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে আদালতে তোলা হয় আসামিদের। এ সময় আসামিদের তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পরে সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে বিচারক এজলাসে আসেন। এরপর শুনানি শেষে ১০টা ৪৫ মিনিটে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।

পলক ও মনিরুলের মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার হানিফ ফ্লাইওভারের উপরে ছাত্র জনতার সঙ্গে মিছিলে অবস্থান নেন ফরিদ আহম্মেদ। ঘটনার দিন আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।

গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেপ্তা‌র করে পুলিশ। এ বছরের ২১ এপ্রিল ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার ভোররাতে রাজধানী রমনা থেকে শহিদুল্লাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শহীদুল্লা ও আবুল হাসানের মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক গুলিবিদ্ধ হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন তিনি। পরে গত ২৪ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন তিনি।