অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকারিতা ও পুনর্বহালের বিষয় চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবেন সুপ্রীম কোর্ট।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর জন্য আইনি লড়াই চলছে। আপিল বিভাগের চূড়ান্ত শুনানি হবে অক্টোবরের শেষের দিকে।
প্রশ্ন উঠেছে, যদি আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পুনর্বহালের রায় দেন, তাহলে আগামী নির্বাচন কার অধীনে হবে। প্রধান বিচারপতিও জানতে চেয়েছেন, কেয়ারটেকার সরকার ফিরলে এটি কবে কার্যকর হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে কার্যকর হবে, তা সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকার যেমন সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে আছে, তেমনি সুপ্রিম কোর্টও নির্দেশ দিতে পারবেন কখন এটি কার্যকর হবে। আমরা আশা করি, আদালত সবকিছু বিবেচনা করে স্পষ্ট একটি গাইডলাইন দেবেন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক যে অপরাধ করেছেন তার সাজা ৭ বছর।
আপিল বিভাগের মনোভাব এবং আবেদনকারীদের অবস্থান স্পষ্ট করছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও ফিরে আসছে। আইনজীবীরা বলছেন, এটি দেশের গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করবে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন জানান,‘রিভিউ পিটিশন অনুমোদিত হলে জনগণ আবার তাদের ভোটাধিকারের অধিকার ফিরে পাবে।’
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ সংবিধানে ফিরে আসবে।’
উল্লেখ্য, দেশের চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, যা দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন