ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এস এম ফরহাদের অংশ নিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। তিনি নির্বাচনে ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদপ্রার্থী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে আপিলের শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত আদেশ আসে।
একইসঙ্গে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বরেই ভোটগ্রহণ হবে বলেও আদেশ দেয়া হয়। স্থগিত করা হয় হাইকোর্টের রায়।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করার কারণে কারো প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, এটা ভুল তথ্য। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিজারের প্রার্থিতা বাতিল হয়।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এর মধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার ১০টির মতো প্যানেল দেয়া হয়েছে।
এ নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, ১৮টি হলের ১৩টি পদে মোট এক হাজার ৩৫জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট সকালে বিচারপতি এস কে তাহসিন আলী ও হাবিবুল গনির আদালতে ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী ও শিবির নেতা এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে ডাকসুর ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক বি এম ফাহমিদা আলম।
রিট আবেদনে বলা হয়, ফরহাদ আগে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থী কীভাবে হলেন? এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪ প্যানেলে তিনটি বাম সংগঠন এবারের ডাকসু নির্বাচনে লড়ছে। এই প্যানেলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল (বাংলাদেশ জাসদের ছাত্র সংগঠন) এর সমন্বয়ে করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ছাত্রশিবির থেকে ভিপি পদে সাদিক কায়েম এবং জিএস পদে এস এম ফরহাদ লড়ছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন