ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রিমান্ড শেষে কারাগারে বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমউল্লাহ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ‎গত ৭ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ ‎মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৭ অগাস্ট তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।

রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহজ বিন ইসলাম।

‎‎নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুম জামিনের বিরোধীতা করেন।

‎‎বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনকে আসামি করে গত ১৮ জুন মামলাটি দায়ের করা হয়।

‎‎মামলার অপর আসামিরা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।

‎‎মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেইউ এফডিআর ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। 

ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেন এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।