আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য (এমপি) ও নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত লোকমান হোসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলীকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আরও ১৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি মো. মাহবুবুল হক হিরক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ও শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগের নেতা মো. আলম মাদবর, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক শাকিল, আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম সুমন, মো. সাইফুল ইসলাম ও ফাহাদ হোসেন বাবু।
এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জের মাধাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাইবুর রহমান নাইস, গাজীপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোল্লা, সোলাইমান মিয়া ও মো. আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও সিহাব শাহরিয়ার, আওয়ামী লীগ কর্মী মামুন ও ইনজামুল হক এবং ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ পালোয়ান।
এদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্যসহ প্রথম সাতজনকে দুদিন এবং শেষ ৯ জনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন ১৭ আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই আনোয়ার হোসেন খান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ অভিযানে মিরপুর থেকে তামান্না নুসরাত বুবলীকে আটক করা হয়। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদের মধ্যে ৯ জনকে মিছিল থেকে আটক করা হয়। অন্যদের কয়েক দিন অভিযান চালিয়ে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন