জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল-এর মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এই রায় ৪৫৩ পৃষ্ঠার এবং এতে ছয়টি অংশ রয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) আদালত এই রায় প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে মামলার আসামিরা আপিল করার সুযোগ পাবেন। এই মামলায় একই সঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল, যার অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও দুই আসামির অপরাধ প্রমাণিত। শেখ হাসিনাকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, আসাদুজ্জামান খান কামালকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস থেকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের এটাই প্রথম মামলা, যার রায় আজ ঘোষণা করা হলো। এ ঘটনায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার ও সাজা পেয়েছেন।
-20251126053801.webp)

