সিলেট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিলেটে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তোরাব হত্যায় দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এসএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম উত্তর) সাদেক দস্তগীর কাউসার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯আগস্ট) দুপুরে নিহত সাংবাদিক তোরাবের ভাই আবুল আহছান মোঃ আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেটে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, বিগত ১৯জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের টার্গেটকৃত গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তোরাব। তখন সারাদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ও উস্কানীতে সিলেটে সাংবাদিক তোরাবসহ অসংখ্য হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। ওইদিন সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে ৩নং আসামী আজবাহার আলী শেখ এর নির্দেশে ২নং আসামী মোঃ সাদেক দস্তগীর কাউসার প্রেস জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় দায়িত্বরত দৈনিক জালালাবাদ ও নয়াদিগন্তের সাংবাদিক এটিএম তোরাব এর বুকে গুলি করেন।
এর পরেই মামলায় বর্ণিত ৪-৮নং ও ১৫-১৮নং আসামীরা সরাসরি ভিকটিমের গায়ে গুলি বর্ষণ করেন। এরপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সাংবাদিক এটিএম তোরাব।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন, ওসি তদন্ত ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগরীর সভাপতি কাউন্সিলর আপ্তাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পীযুষ কান্তি দে, সিসিক`র জনসংযোগ কর্মকর্তা (মামলায় উল্লেখ মেয়রের পিএস) সাজলু লস্কর, ৩২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, শিবলু আহমদ, এসআই সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ, উজ্জ্বল। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ২৫০জনকে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী এটিএম তোরাবের ভাই বলেন, আমি ঘটনার দিন মামলা করতে চাইলে ২-৫নং আসামী আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দেন। আমি আমার ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
আপনার মতামত লিখুন :