শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

হাসিনা ভারতের রাজনীতিবিদদেরও ব্ল্যাকমেইল করেছে: গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

হাসিনা ভারতের রাজনীতিবিদদেরও ব্ল্যাকমেইল করেছে: গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন আমি যতবার দিল্লিতে গিয়েছি, কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, এমনকি নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেই হবে, তা না হলে আমাদের সেভেন সিস্টার থাকবে না।

আমি স্পষ্ট করে তাদের বলেছি, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, এই নাবালকসুলভ বাক্য পেলেন কোথায় আপনারা? বাংলাদেশিদের খেয়ে কাজ আছে। তারা দেশের উন্নয়নে দিন-রাত এক করে কাজ করে। দেশকে গড়তে খেয়ে না-খেয়ে বিদেশে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। এত বেকার লোক বা এত অলস লোক বাংলাদেশে নেই, যে তারা দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে সেভেন সিস্টার নিয়ে ভাববে বা দখল করতে যাবে। সেভেন সিস্টারের দিকে কেউ তাকাবে না। দেখুন, এত দিন হলো, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ সেভেন সিস্টার নিয়ে কোনো কথা বলেছে? বলেনি, বলে রূপালী বাংলাদেশকে জানান গোবিন্দ চন্দ্র।

তিনি বলেন, ভারত এই জুজুর ভয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে। ফলে, যে কোনোভাবেই তাকেই ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা এতটা চতুর-ধুরন্ধর মহিলা ছিলেন যে তিনি ভারতের রাজনীতিবিদদেরও ব্ল্যাকমেইল করেছেন। শেখ হাসিনার কূটকৌশলের ফাঁদে পড়ে তারাও বিশ্বাস করেছে যে শেখ হাসিনা না থাকলে সেভেন সিস্টার থাকবে না। একই সঙ্গে তার ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে বিপদে পড়েছে, তারা তা বুঝতেও পারেনি।

শেখ হাসিনা সংগঠনের কিছু লোক কিনে রাখে, তারাই মূলত নানা ইসুতে হইচই করে। তারা কৌশলে প্রচার করে মন্দের ভালো আওয়ামী লীগ। কারণ তাদের ১৪টা এমপি সিট দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি তো একটাও দেয় না। এই তুলনা করেই সাধারণ হিন্দুদের খেপিয়ে তোলে, বলে রূপালী বাংলাদেশকে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির সময় ২০০১ সালে ভোলাসহ যে হামলা হয়েছিল, তার ভলিয়ম-ভলিয়ম বই লিখে দেশে-বিদেশে প্রচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রচার করেছে, আমরা আছি বলেই দেশ এখনো জঙ্গি হয়নি। আমাদের সাহায্য না করলে দেশ জঙ্গি বা তালেবানদের হাতে চলে যাবে। এ ক্ষেত্রে ভারত ভাবতেই পারে তাদের পেটের ভেতরের দেশ জঙ্গি দেশ না হোক। সুতরাং তারা যে কোনো ভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব তথ্য কোথা থেকে পান! দূতাবাসে যারা নিযুক্ত, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছ থেকেই তো। বিষয় হচ্ছে, এখান থেকে যারা রিপোর্টিং করে, তারা যথার্থ রিপোর্ট করে না। তারা বায়াস্ট হয়ে রিপোট করে, বলে জানান তিনি।

আরবি/এস

Link copied!