বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

সংকট সয়াবিন তেলের, রমজানের আগে বাড়তে পারে দাম

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

সংকট সয়াবিন তেলের, রমজানের আগে বাড়তে পারে দাম

ফাইল ছবি

রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে প্রায় ৬০টির মতো মুদি দোকান রয়েছে। এরমধ্যে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে ১০ থেকে ১৫টি দোকানে। যার মধ্যে ছয়টি দোকানে বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে ৫ টাকা বেশিতে তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে মহাখালীসহ রাজধানীর বনানী ও তেজগাঁও এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের এ সংকট দেখা গেছে।

বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তেলের সরবরাহ কমিয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরেও সরবরাহ কমিয়ে এক দফা দাম (লিটারপ্রতি ৮ টাকা) বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। আসন্ন রমজানের আগে আরও এক দফা দাম বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

এখন রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বললেই চলে। আর কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলোতে গায়ে লেখা দামের চেয়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।

রামপুরা ভাই ভাই স্টোরের জামাল হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো ঠিকঠাক মতো তেল দিচ্ছে না। মাঝে মাঝে দু-এক কার্টন তেল দিচ্ছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

এদিকে, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা ধরতে অনেক বিক্রেতা এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছেন। অনেকে আবার তেল রাখছেন শুধু নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য।

মহাখালী কাঁচাবাজারে কোম্পানির একজন ডিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগামী রমজানের আগে তেলের দাম আরেক দফা বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো। ফলে তারা যেমন বাজারে সরবরাহ কমিয়েছে, আবার যেটুকু তেল বাজারে আসছে সেটাও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মজুত করছেন। আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে, এটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’।

তেল সরবরাহকারী একাধিক কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও তারা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

কোম্পানির ওই ডিলার আরও বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। যে কারণে তেল বিক্রি করে কোম্পানিগুলোর পোষাচ্ছে না। তারা দাম আরও বাড়াতে চায়।

এদিকে, গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে ৮ টাকা বাড়িয়েছিল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। এছাড়া নতুন সরকার তেল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ককর ১০ থেকে ১১ টাকা কমেছে। এরপরও আমদানি বাড়েনি; বরং বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি করেছে কোম্পানিগুলো।

খালিদ হোসেন নামের এক খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সয়াবিনের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। পরিবেশকদের কাছে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না তারা। কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ এসব বিক্রেতার।

আরবি/ এইচএম

Link copied!