টেস্ট ক্রিকেট এলেই জাতীয় দলে দেখা যায় স্পিনার নাঈম হাসানকে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে অভিষেক হয় তার। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তিনি। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরেও বোলিং নৈপুণ্য দেখান এই বোলার। এ পর্যন্ত মোট ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন নাঈম। কিন্তু বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে দলে এখনো অভিষেক হয়নি তার। এবার টেস্টের পাশাপাশি অন্য দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্যও নিজেকে প্রস্তুত করছেন বলে জানালেন নাঈম। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে তিন ফরম্যাটে খেলার মতো করে প্রস্তুত করছি। একটা ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলছি। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলÑ এগুলোতেও খেলি আলহামদুলিল্লাহ। তো আমি যদি শুধু এক ফরম্যাটে খেলতাম, তাহলে শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতাম। তাহলে প্রিমিয়ার লিগ কিংবা বিপিএল খেলা হতো না। আমি নিজেকে তিন ফরম্যাটে খেলার জন্য চিন্তা করি।’ বাংলাদেশ এইচপি ও ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া একটি দল টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। সেই সফরের একজন সদস্য হওয়ার প্রবল আগ্রহ নাঈমের। দলে সুযোগ পেলে কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে চান তিনি। নাঈম বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের জন্য অচেনা কন্ডিশন, আমার কোনো সময়ই খেলা হয়নি। এখন যদি আমাকে সিলেক্ট করে অবশ্যই যাব। ওইখানে গেলে তো আমি বাইরের দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলব। নতুন কন্ডিশনটা আমি জানব, ওখানে কীভাবে কী করতে হয়। যখন কেউ ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যায়, তখন ওখানে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলবে, এমন খেলোয়াড়ই থাকে। ওদের সঙ্গে খেললে ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ আসবে, কন্ডিশনগুলোও চেনা হবে। এটা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’ অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে আগেই খেলতে পারলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলেও মনে করেন নাঈম, ‘দেখুন, এখন যদি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারি, এই অভিজ্ঞতা কিন্তু আমার ভবিষ্যতে কাজে দেবে। সামনে যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে যাব, তখন কিন্তু এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’ সামনে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের মতো বড় দুটি আসর। নাঈম মনে করেন, মোমেন্টাম পেলে সেরা ফল বের করে আনতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘ওরা (টি-টোয়েন্টি দল) খুব ভালো খেলছে। আমার বিশ^াস, ওরা ওইখানে খুব ভালো রেজাল্ট করবে। টি-টোয়েন্টি অল্প সময়ের খেলা। যদি মোমেন্টাম পায় তাহলে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে ইনশাআল্লাহ।’
আপনার মতামত লিখুন :