জামালপুরে অটোরিকশা চালকরা পাঁচ দফা দাবিতে রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস ধর্মঘট পালন করেছেন। ধর্মঘটের কারণে শহরের প্রধান সড়ক প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। সাধারণ যাত্রীদের গাড়ি না থাকার কারণে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সম্মান ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে শত শত পরিক্ষার্থী দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন।
জামালপুর শহরের পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান সড়ক সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত ও হাসপাতাল সংযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ছোট শহরে মূলত প্যাডেল রিকশার উপর মানুষের চলাচল নির্ভরশীল ছিল, তবে কয়েক বছর ধরে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, ইজি-বাইক ও মিশুকগাড়ি এই জায়গা দখল করেছে। এতে যানজট বেড়ে গেছে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
অটোরিকশা চালকদের দাবিগুলো হলো- ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে লাইসেন্স কার্যকর করা, লাইসেন্স নবায়ন ফি কমানো, গাড়ির রং আলাদা না রেখে এক লাইসেন্সে সপ্তাহে সাত দিন গাড়ি চালানোর সুযোগ, অন্য জেলার অটোরিকশা জামালপুরে প্রবেশ করতে না পারা, এবং জেলার সকল উপজেলায় অটোরিকশা চলাচল নিশ্চিত করা।
ধর্মঘটের অংশ হিসেবে চালকরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন এবং টিউবওয়েল পাড় মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ঝটিকা মিছিল করেছেন।
জামালপুর পৌরসভা এলাকায় প্রায় ১১ হাজার ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চলাচল করে, এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার লাইসেন্সবিহীন। পৌর প্রশাসন জানিয়েছে, চালকরা ঠিকভাবে তথ্য না জেনে আন্দোলনে নেমেছেন। পৌর প্রশাসক মৌসুমী খানম বলেন, লাইসেন্স ফি থেকে অতিরিক্ত অর্থ চালকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে খরচ হবে।
ধর্মঘটের কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা যানজট কম থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন, তবে শিশু, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে এটি যথেষ্ট ভোগান্তিকর হয়েছে।


