বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

কানাডা-জার্মানিতেও সাবেক আইজির বাড়ি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

কানাডা-জার্মানিতেও সাবেক আইজির বাড়ি

ছবি: সংগৃহীত

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হকের শতকোটি টাকার সম্পদের দলিলসহ বিভিন্ন নথি খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইসব নথির মধ্যে জার্মানির বন শহরে থাকা বাড়ির মূল দলিল এবং কানাডার টরন্টোতে থাকা আরেক বাড়ির মূল দলিল পাওয়া গেছে। ওসব বাড়ি বিলাসবহুল বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, নথিগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসবের মধ্যে রয়েছে শহীদুল হকের বাবা ও মায়ের নামে গড়া মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে কয়েক কোটি টাকার স্থায়ী আমানত ও এফডিআরের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এ ছাড়া ফারমার্স ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত রয়েছে। এ ছাড়া তার রাজধানীর গুলশান, ভাটারা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে, সোনারগাঁও, সদর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পূর্বাচল এবং গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ সম্পদের দলিল রয়েছে। মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তিনটি শাখায় ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, ফারমার্স ব্যাংকের ৮টি হিসাবে ৪ কোটি ৭০ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চারটি হিসাবে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এফডিআরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে এ ফাউন্ডেশনের নামে প্রায় অর্ধশতাধিক সঞ্চয়ী হিসাব ও এফডিআরের নথিপত্র পেয়েছে দুদক।

সূত্র জানায়, ওই দুই বস্তায় বিপুল পরিমাণ সম্পদের দলিল ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাগজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকার গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাতটি পৃথক দলিল, সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঢাকার পাঁচটি, উত্তরার দুটি, কেরানীগঞ্জের দুটি, মোহাম্মদপুরে দুটি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ফতুল্লার ১০টি দলিল রয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বলেন, তল্লাশিকালে দুটি বস্তায় ৩৮ ধরনের ৪৮টি আলামত পাওয়া গেছে। এসবের মধ্যে বিভিন্ন মূল্যবান সম্পত্তির দলিল, গোপনীয় চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, বন্ড, এফডিআর, সংঘ স্মারক, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণীসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে।

উল্লেখ্য, শহীদুল হককে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায়। গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়।

আরবি/এসবি

Link copied!