মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ১২ লাখ কর্মী পাঠানোর সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাধারণ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তারা।
এ সময় মালয়েশিয়া সরকারের সব শর্ত মেনে দ্রুত সময়ে যেকোনো মূল্যে শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে জনশক্তি রপ্তানি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বক্তারা বলেন, ‘অন্য ১৩টি দেশ মালয়েশিয়া সরকারের শর্ত মেনে তাদের শ্রমবাজার চালু রাখলেও বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। ফলে ১২ লাখ কর্মীর যে চাহিদা মালয়েশিয়ার রয়েছে সেই বাজার বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হারাতে বসেছে ৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।’
স্মারকলিপিতে বায়রার সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে মালয়েশিয়াসহ সব বন্ধ শ্রমবাজার খোলার ব্যবস্থা করা হোক। দেশ ও কর্মীদের সার্বিক স্বার্থে সরকার যে পদ্ধতিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করবে, বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক হিসেবে সেটা যথাযথভাবে অনুসরণ করে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আল সুপ্ত ওভারসিজের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ মজুমদার, পূরবী ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আর্থ স্মার্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ইএমএস ইন্টারন্যাশনালের এএমএস সাগর, তাসনিম ওভারসীসের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আল আকাবা এসোসিয়েটের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্বাস, আল গিফারীর সাগর মাহমুদ, স্কাইল্যান্ড রিক্রুটিংয়ের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আরমান এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ সাজ্জাম হোসেন, ফ্রিডম ওভারসিজের কফিল উদ্দিন মজুমদার, এসএফ গ্লোবালের হাওলাদার ফোরকান উদ্দিন ও দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।