আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে কোনো ধরনের প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া আশা করেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (১১ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কী হবে?’ শিরোনামে ওই পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেন, আমি বিশ্বাস করি না, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্ব বিলাপ করবে।
তিনি লেখেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল। মরা দেখেছি মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মূল জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এমনকি পশ্চিমা গণতন্ত্রেও সমগ্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে- কেবল তাদের কার্যক্রম নয়। জার্মানি এবং ইতালি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাৎসি এবং ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল। স্পেন এবং বেলজিয়ামে, কিছু রাজনৈতিক দলকে অবসানমূলক কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
প্রেস সচিব লিখেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, দলীয় কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনগুলো মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধে অংশগ্রহণ করেছিল। এই দল বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যাপক ধ্বংস করেছে। নেতা এবং সমর্থকরা ব্যাংক লুট করেছে এবং বিদেশে বিপুল পরিমাণ তহবিল পাচার করেছে।
প্রেস সচিব আরও লিখেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কেউ নেই যে এমন নির্লজ্জ খুনি, গণতন্ত্রবিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে। আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা কোনও প্রতিকূল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।