ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ‘বাংলাদেশি’ ট্যাগ দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে শিশু, নারী-পুরুষদের ঠেলে দিচ্ছে (পুশইন)। তাই দেশ দুটির সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও পরিচয় না জানা অনেকেই বিএসএফের পুশইন কর্মসূচিতে আছেন। বিষয়টি যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও জনসম্পৃক্ততায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঢাকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবুও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ‘শুধু বৃহস্পতিবারই (২২ মে) একশর বেশি মানুষ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, ফেনী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ির সীমান্ত এলাকা থেকে আমরা আটক করি তাদের।’
সরকারি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অন্তত তিন শতাধিক মানুষকে পুশইন করা হয়েছে।
বিজিবি ও সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মতে, ভারতের দিক থেকে ‘পুশইন’ কিংবা ‘পুশইনের চেষ্টা’ বেড়েই চলেছে।