সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫’ এর কয়েকটি ধারায় অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রোববার (০১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি অধ্যাদেশটি দেখেছি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজনের নজরে এই জিনিসটা এনেছি। এখানে কিছু প্রভিশন আছে, যেগুলো অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে।
উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। প্রধান উপদেষ্টার কাছেও তিনি বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান। উপস্থিত কর্মচারী নেতারা বলেন, এই অধ্যাদেশ সংবিধানবিরোধী কালো আইন। তারা অবিলম্বে এটা বাতিল চান।
আজ খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছেও স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। এর মধ্যে গত রোববার সন্ধ্যায় এ অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। পরে এর প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
আজ রোববার সচিবালয়ে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। এ সময় বক্তব্য দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম। পরে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।