অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের তালিকা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে একটি ‘ইনডেমনিটি’ বা দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে।
বুধবার (৪ জুন) বিকেলে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পুনর্গঠন হচ্ছে। যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে। সেই প্রক্রিয়ায় যাঁরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, তাঁদের স্বেচ্ছায় তালিকা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে চাই। এ জন্যই ইনডেমনিটির চিন্তা করছি।’
-20250604182807.webp)
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফারুক ই আজম বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে অনেকেই যথাযথ যাচাই-বাছাই না করেই সংবাদ প্রকাশ করছেন। তবে আমরা চাচ্ছি নির্দিষ্ট আইন, বিধি ও নীতিমালার ভিত্তিতে বিষয়গুলো যাচাই করতে। সেই অনুযায়ীই পুরো কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তবু তাঁরা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আমরা অনেক নমুনা পেয়েছি। যাচাইয়ের পর একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন বা ধারা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় যাঁরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, তাঁদের থেকে মুক্তি চাই।’
