রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদ উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
সময়মতো ট্রেন ছাড়ার পাশাপাশি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তি কমেছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হুইসেল বাজিয়ে জামালপুর এক্সপ্রেস জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেন ছাড়ার সময় যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেছে প্রবল উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস।
যারা আগে থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তারা স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ নিজ আসনে বসেছেন। এছাড়া, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডিং টিকিটেরও ব্যবস্থা করেছে, যা অনেক যাত্রীর জন্য সহায়ক হয়েছে।
তবে কিছু যাত্রী, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ছাদে উঠে যাত্রা করার প্রবণতা দেখা গেছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ঈদের টানে অনেকেই এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।
কমলাপুর স্টেশনের আশপাশে হালকা বৃষ্টির দৃশ্য দেখা গেছে। এই অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেক যাত্রী ছাতা, পলিথিন বা কাগজ দিয়ে নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করেছেন।
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও তাদের মুখে ছিল বাড়ি ফেরার আনন্দ। ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে অনেকেই চিৎকার করে নিজেদের আবেগ প্রকাশ করেছেন।
ঈদযাত্রায় অংশ নেওয়া একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এবারের যাত্রায় অনেকটাই সন্তুষ্ট। তাদের মতে, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা কম।
বেশিরভাগ ট্রেনই সময়মতো ছেড়েছে, যদিও দু-একটি ট্রেন পাঁচ থেকে দশ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই সামান্য বিলম্ব নিয়ে তাদের তেমন অভিযোগ নেই।
তবে যাত্রীদের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বারবার উঠে এসেছে—দাঁড়িয়ে যাতায়াতকারী ও ছাদে ওঠা যাত্রীদের ভোগান্তি ও ঝুঁকি কমাতে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত।
এতে চাপ কমবে এবং যাত্রাও হবে আরও আরামদায়ক।
সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা সময়মতো ট্রেন চলাচল, যাত্রীদের উৎসাহ এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের কারণে অনেকটাই সফল ও সুশৃঙ্খল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :