ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

গুম তদন্ত কমিশন

২০২২ সাল থেকে ‘গোপন সেলে’ ছিলেন সুব্রত বাইন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। ছবি- সংগৃহীত

২০২২ সাল থেকে র‌্যাবের গোপন সেলে বন্দি ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদনের অংশবিশেষ প্রচার করা হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৬-৭ আগস্ট পর্যন্ত আটক ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। ইন্টারপোলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ অনেক অপরাধের অভিযোগ আছে। 

২০০১ সালে বাংলাদেশের ২৩ জন মোস্ট ওয়ান্টেডের একজন ছিলেন তিনি। নেপালে ধরা পড়ার পর ২০১২ সালে সে দেশের একটি কারাগার থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে যান সুব্রত। পরে কলকাতাসহ কয়েক জায়গায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও বারবার জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়েছেন সুব্রত।

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে  জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে পরিচালিত একটি গোপন বন্দি বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুব্রতকে আটক রেখেছিল র‍্যাব। বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে পরিচালিত একটি গোপন ও বেআইনি বন্দি বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০২২ সালের এপ্রিলের শেষদিকে সুব্রত বাইনকে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর বিনিময়ে বাংলাদেশ র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তর করে। হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তি টিএফআই সেলে বন্দি ছিলেন।’

এর আগে গত ২৭ মে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। ‘শুভ্র’ নামেও পরিচিত সুব্রত বাইন হত্যা, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ অসংখ্য মামলার আসামি। ২০০১ সালে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং দীর্ঘদিন সেখানেই আত্মগোপনে ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে শুধু রমনা থানায় হত্যাসহ ১৭টি মামলা আছে। কলকাতার ঠাকুরপুকুরে তিনি ‘ফতেহ আলী’ নামে পরিচিত ছিলেন। সেখানে থেকেও তিনি নিয়মিত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে আদায় করতেন।