শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


তাপস মাহমুদ, বরগুনা

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৫, ০২:১৩ এএম

বরগুনায় ছাত্রীকে দিয়ে ‘পা চাটানো ও ময়লা খাওয়ানোর’ অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

তাপস মাহমুদ, বরগুনা

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৫, ০২:১৩ এএম

অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটা ও ময়লা খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে । পড়া না পারায় ছুটির পরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। 

ঘটনার পর শিশুটির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজের পাশাপাশি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্বজনরা ক্ষোভ জানিয়েছে। 

বুধবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার লাউপাড়া এলাকার মারকাজুল কুরআন আরবি মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান (২৬) ওই মাদ্রাসায় ইংরেজি ও গণিতের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে পড়া না পারায় শিক্ষক তাকে ছুটির পরে একা রুমে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পরে পড়া না পাড়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পা চাটায় এবং মাটিতে পড়ে থাকা নোংরা ময়লা খাওয়াতে বাধ্য করে। মেয়ের ওপর অমানবিক অত্যাচারের বিচার দাবী করেন এবং তিনি এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন বলেও জানান।’

এলাকাবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ এই অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার পূর্বক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফেজ আরিফ মোবাইলে রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘটনার সময় মাদ্রাসার পাশে কাজ করাতে ছিলাম। এরপর আমি তালতলী বন্দরে যাই। সেখান থেকে এসে ছাত্রীকে পাইনি।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমানের বলেন, ‘আমি শুধু বলেছি লেখাপড়া এরপর ভালো ভাবে শিখতে হবে। অন্য কোন ঘটনা হয়নি।’
 
তিনি আরও বলেন,‘পড়া না পাড়ার জন্য আমি শুধু ময়লা খাওয়ানোর কথা বলেছি ঐ ছাত্রীকে। তবে পা চাটানোর অভিযোগটি সত্য নয়।’

শিশুটি বর্তমানে আতঙ্কিত এবং মানসিক বিপর্যস্ত হওয়ায় কোন খোঁজ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হাফেজ আরিফ বলেন, ‘টি ভুয়া। ভুয়া কিভাবে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারে নাই।’

এ বিষয়ে তালতলী শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হাইরাজ মাঝি বলেন, ‘শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর এমন আচরণ লজ্জাজনক। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এটি কল্পনাও করা যায় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের আচরণ শিক্ষকতা পেশার অপমান এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’

তালতলী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শরীফুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে মুঠোফোনে  বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোন  অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা শাহীন আকন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার জন্য তালতলী থানায় রয়েছেন বলে তিনি  মুঠোফোনে রুপালি বাংলাদেশকে  জানান। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!